শীতের সময় চুলের যত্ন

শীতকাল আমাদের সকলেরই বেশ পছন্দের ঋতু। সুন্দর আবহাওয়া, পিঠা-পুলি আর উৎসবের মধ্যেই কেটে যায় আমাদের শীতকাল। কিন্তু শীতকাল আসা মানেই আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য নিয়ে আসে শুষ্কতা এবং রুক্ষতা। তাই এই সময়ে দরকার আমাদের ত্বক ও চুলের সঠিক যত্ন। বিশেষ করে চুলের দরকার হয় বাড়তি যত্ন। কারণ এই সময়ে শুষ্কতার কারণে চুলে দেখা দেয় রুক্ষতা, আগা ফেটে যাওয়া এবং অতিরিক্ত খুসকি। তাই আজকে আমরা জেনে নিবো শীতের সময় কিভাবে সঠিক উপায়ে চুলের যত্ন করতে হবে। 

১. চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন: চুলের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করতে চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া চাইলে গোসলের আগে তেল হালকা কুসুম গরম অবস্থায় মাথায় দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে আপনার মাথার ত্বকের খুশকি দূর হবে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হবে এবং চুল হবে মজবুত। 

২. চুলে কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করুন: চুল কালার করা কিংবা যারা নিয়মিত পার্লারে চুলের বিভিন্ন সার্ভিস নিয়ে থাকেন তারা অনেকেই বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টে চুল দেখতে সুন্দর লাগলেও চুলের বেশ ক্ষতি করে। পাশাপাশি সালফেট এবং প্যারাবেন মুক্ত স্যাম্পু ব্যবহার করুন। তাই শীতকালে যতটুকু সম্ভব চুলে কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করুন। 

৩. মাথায় গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: গরম পানি ছাড়া শীতকালে গোসল করার কথা ভাবাই যায়না। তবে গোসলে গরম পানির ব্যবহার চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এই গরম পানি চুলের গোঁড়া থেকে প্রাকৃতিক তেল ও পুষ্টি উপাদান অনেকটাই ধুয়ে ফেলে। তাই চুলে গরম পানির ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।   

৪. ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন: বাড়িতে আমাদের হাতের কাছেই নানান ধরণের উপাদান থাকে যা দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন হেয়ার প্যাক। ঝলমলে এবং মজবুত চুলের জন্য চেষ্টা করবেন বাড়িয়ে বিভিন্ন রকম ঘরোয়া হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে লাগাতে। এতে করে আপনার চুল হবে মজবুত এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। 

৫. পুষ্টিকর খাবার এবং বেশি করে পানি পান করুন: শীতের সময় বাজারে নানা রকমের শাকসবজি ও ফল পাওয়া যায়। তাই বেশি করে শাকসবজি ও ফল খান। কারণ শাকসবজি ও ফলে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে এবং আপনার চুলকে রক্ষা করবে। পাশাপাশি অবশ্যই বেশি করে পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে যা খুশকি হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।