যখন থেকে মাস্ক পড়া শুরু করেছেন আপনার মুখে কি হঠাৎ অনেক বেশি পিম্পল, লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া শুরু হয়েছে?
সবার না হয়ে থাকলেও কম বেশি অনেকে নানা ধরনের স্কিনের সমস্যায় ভুগেন আর সব থেকে বেশি কমন বিষয় হচ্ছে পিম্পল, লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া অনুভূত হওয়া। আর এসব পিম্পলস গুলো বেশিরভাগ সময় দেখা দিয়ে থাকে জ-লাইন ও গালের আশেপাশে।
আপনি কি জানেন সারাক্ষন বাইরে বা কাজে মাস্ক পড়ে থাকাতে আপনার স্কিনে কি কি হতে পারে?
আপনি যখন সারাক্ষন মাস্ক পড়ে থাকেন তখন আপনার ফেইসের ওই অংশটুকু তাপ, আলোবাতাস ইত্যাদি পায়না। তাই লক্ষ্য করে দেখবেন যে মাস্ক পড়ে থাকার কারণে আপনার ওই জায়গায় অনেক গরম অনুভূত হয় যার ফলে আপনি অনেক ঘেমে যান আর আপনি শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে যা গ্রহন বা বের করেন তা মাস্কের ভেতরই আটকে থাকে ফলে দেখা দেয় অ্যাকনে বা পিম্পলসহ নানান সমস্যা।
আর আপনাদের মধ্যে যাদের অ্যাকনে প্রন স্কিন, rosacea বা স্কিন অনেক বেশি সেনসিটিভ তাদের স্কিন অনেক বাজেভাবে রিয়্যাক্ট করতে পারে। তাছাড়া যদি গুরুতর আকারে dermatitis, allergic reaction বা র্যাশ দেখা দিয়ে থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চলুন জেনে নেই কোন কোন টিপস আপনার স্কিন কে কোমল রাখতে সাহায্য করবে-
১। স্কিন ক্লিঞ্জিং নিয়ে সতর্কতা
যদি দেখে থাকেন আপনি আগে নিয়মিত যেসব কিঞ্জার ব্যবহার করছিলেন তা আপনার স্কিন কে হঠাৎ অনেক বাজে ভাবে রিয়্যাক্ট করছে তাহলে আপনি সকালে উঠে সিম্পল ক্লিঞ্জার বাদ দিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে ফেইস টি ধুয়ে নিতে পারেন বা আপনি চাইলে গ্রিন টি একটি কাপে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর ওই পানি দিয়ে আলতো ভাবে হাতে নিয়ে ফুল ফেইসে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন ও পড়ে হালকা গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন। আর যদি ট্যাপের পানিতে স্কিনে অসস্থি হয় তাহলে ফিল্টারের পানি ব্যবহার করুন।
২। ওট মাস্ক
আমরা সবাই জানি ওটস একটি একটিভ উপাদান যা আমাদের স্কিনের জন্য অনেক উপকারি। ওটসে রয়েছে polysaccharide ও hydrocolloid যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। যাদের ত্বক অনেক সেনসিটিভ বা ইরিটেশন হয় তাদের জন্য ওটস মাস্ক খুবই ভালো।
একটি সিলযুক্ত কন্টেইনার নিন এবং তাতে ওটস ঢেলে পানি নিয়ে নিন ও কিছুক্ষনের জন্য রেখে দিন। যখন ওটসের ভেতর যা কার্যকরী জিনিস রয়েছে তা পানিতে চলে আসবে। তখন কটন প্যাড তাতে ভিজিয়ে নিয়ে তা ফেইসে ব্যবহার করুন। এবং অবশ্যই সম্পূর্ণ ভাবে কটন প্যাড শুকাতে দিবেন না, শুকানোর আগে তুলে ফেলবেন।
৩। একটিভ ইনগ্রেডিয়েনট বা স্কিন ট্রিটমেনট থেকে বিরত থাকুন
এই সময়গুলোতে একটিভ ইনগ্রেডিয়েনট যেমন AHA বা BHA ব্যবহার না করে প্রশান্তিদায়ক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন, কারণ একটিভ ইনগ্রেডিয়েনট এখন আপনার স্কিনকে আরও গুরুতরভাবে রিয়্যাক্ট করতে পারে।
৪। স্কিনে ভারি কিছু ব্যবহার করবেন না
এই সময় মেকআপ এড়িয়ে চলুন এবং স্কিনে পাতলা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। কিন্তু অবশ্যই খুব ভারি কিছু ব্যবহার করবেন না।
৫। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
স্কিনে এমন ময়েশ্চার ব্যবহার করুন যেটা ইরিটেটিং, সুগন্ধি এবং প্যারাবেন ফ্রি। কিন্তু তাতেও যদি আপনার স্কিন ইরিটেট করে তাহলে আপনি ওটমিল মাস্ক ব্যবহার করুন। এই মাস্কটি অবশ্যই কাজ করবে ও আপনার স্কিন কে ময়েশ্চারড রাখবে।