Sudden Infant Death Syndrome (SIDS) একটি কন্ডিশন যেখানে শিশুর ১ বছর হওয়ার আগেই হঠাৎ মৃত্যু হয়। SIDS হলে দেখা যায় ঘুমের মধ্যে ছোট বাচ্চারা হঠাৎ করে মারা যায়। এটা দ্রারনা করা হয়েছে যে যদি শিশুদের জন্মের পর থেকে কোন সমস্যা থাকে অথবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে SIDS হতে পারে।
SIDS কেন হয় এটার যদিও কোন সুনির্দিষ্ট কারণ নেই কিন্তু কিছু বিষয় যেমন – প্রিম্যাচুরড বেবি, জন্মের সময় ওজন কম হওয়া অথবা পরিবেশগত চাপ, যেমন – শিশুর আশেপাশে কেও যদি ধূমপান করে তাহলে শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। এ ছাড়াও কিছু কিছু কারণ যেমন- শিশু যদি ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে ঘুমাই তাহলেও SIDS হতে পারে। কারণ শিশু যখন উপুড় হয়ে ঘুমায় তখন শিশুর পেটে চাপ পড়তে পারে, যার ফলে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে এবং SIDS হতে পারে।
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ২-৪ মাস বয়সী শিশুদের SIDS হতে পারে এবং এটি মূলত ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
কিভাবে আপনার শিশুর SIDS দূর করবেন?
SIDS অনেক সাংঘাতিক একটি অবস্থা। এটির কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই তবে কিছু বিষয় মেনে চললে SIDS এর ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা যায়, যেমন –
১। শিশু কে সোজা করে ঘুম পাড়ানোঃ এটা অত্যন্ত জরুরী। যখন আপনি আপনার শিশু কে উপুড় করে ঘুম পারাবেন তখন শিশুর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। তাই অবশ্যই শিশুকে সোজা করে ঘুম পাড়াতে হবে। এটা শুধু রাতের জন্য নয়, দিনে বা যেকোনো সময় ই খেয়াল রাখতে হবে শিশু যাতে চিত হয়ে ঘুমায়। এবং অবশ্যই যারা শিশুর খেয়াল রাখবে তাদের ও বলে রাখতে হবে যে শিশু যাতে উপুড় হয়ে না ঘুমায়।
২। শিশুকে শক্ত বিছানায় ঘুম পাড়ানঃ শিশুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য একটি ম্যাটরেস ব্যবহার করবেন। যদি শিশু দোলনায় থাকে তাহলে সেখানেও ম্যাটরেস ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও এটি খেয়াল রাখতে হবে যে দোলনায় যাতে বালিশ, খেলনা, কম্বল বা লেপ না থাকে। কারণ এগুলো থাকলে শিশুর মুখে চাপ পড়ে এবং এতে শিশুর দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩। শিশুর আশেপাশে ধূমপান করবেন নাঃ ধূমপান সবার সাস্থের জন্যই ক্ষতিকর। শিশুদের সাস্থের উপর ও ধূমপানের কুপ্রভাব পড়ে। তাই গর্ভাবস্থায় কোনভাবেই ধূমপান করা যাবেনা এবং আশেপাশে কাউকেই ধূমপান করতে দেয়া যাবেনা। এর পাশাপাশি শিশুর জন্মের পর ও সতর্ক থাকতে হবে। শিশুর আশেপাশেও ধূমপান করা যাবেনা।
৪। বুকের দুধ খাওয়ানঃ আপনি যখন আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে SIDS এর ঝুঁকি ৫০% কমে যায়। বুকের দুধ ইনফেকশন এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৫। শিশুকে টিকা দিনঃ আপনার শিশুকে সময়মত টিকা দিন। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৬। খেয়াল রাখতে হবে শিশু যাতে ঘুমানোর সময় বেশি ঘেমে না যায়ঃ আপনার শিশু ঘুমানোর সময় অবশ্যই তাকে পাতলা এবং আরামদায়ক জামা পড়ান। অনেক বেশি কাপড় পড়ালে শিশুর অনেক গরম লাগতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে তার যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
৭। শিশুর বয়স যদি ১ বছরের কম হয়ে থাকে তাহলে তাকে মধু খেতে দিবেন না। কারণ মধু খেলে botulism হতে পারে। botulism একটি অসুখ যেখানে ছোট বাচ্চাদের পেশীর দুর্বলতা হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। botulism এ যে ব্যাকটেরিয়া সেই ব্যাকটেরিয়ার কারণে SIDS হতে পারে।