ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বলে থাকেন যে, পুরানো জিনিসই নতুনরুপে ফিরে আসে। কোল্ড ক্রিমের ক্ষেত্রে এই কথাটি খুবই মানানসই। একসময় কোল্ড ক্রিম খুব প্রচলিত থাকলেও এখন এর ব্যবহার খুব কম। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কোল্ড ক্রিম একাধারে ক্লিঞ্জার, মেকাপ রিমুভার এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
কোল্ড ক্রিম কি?
কোল্ড ক্রিমের মূল উপাদানগুলো হচ্ছে - অলিভ অয়েল বা আলমণ্ড অয়েল, বিসওয়াক্স এবং পানি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এতে আরও কিছু উপাদান যোগ হয়েছে যেমন - পেট্রোলিয়াম বা মিনারেল ওয়াটার যা ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখতে অধিক কার্যকরী।
এর পাশাপাশি কোল্ড ক্রিমকে অবশ্যই কোল্ড হতে হবে। তারমানে এই ক্রিম ত্বককে দিবে একটি ঠাণ্ডা অনুভূতি।
কোল্ড ক্রিমের সুবিধাঃ
- ড্রাই স্কিন থেকে মুক্তি দেয়। ড্রাই এবং রুক্ষ স্কিনে নিয়মিত কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা খুবই উপকারি।
- জলবায়ু পরিবর্তনের সময় ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ত্বকের মায়েশ্চারে তারতম্য দেখা দেয়। এসময় কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। কোল্ড ক্রিমের সবচাইতে ভালো দিক হচ্ছে - ত্বকে যে পরিমান ময়েশ্চার দরকার ত্বক ঠিক ততটুকুই শোষণ করে।
- এটি রেটিনয়েড বা AHA এর সাথে খুব ভালো কাজ করে। কোল্ড ক্রিম ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে এবং ত্বককে দেয় হাইড্রেশন।
- ক্লিঞ্জার হিসাবে কাজ করে।
- কোল্ড ক্রিম মেকআপ রিমুভার হিসেবেও ব্যবহার করা য...
- কোল্ড ক্রিম ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে এবং ত্বককে রাখে কোমল এবং হাইড্রেটেড।
কারা কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করবেন না?
- যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা অ্যাকনে প্রোন।
- যারা উষ্ণ আবহাওয়ায় থাকেন।
- তেলে যাদের অ্যালার্জি হয়।
আপনার স্কিন টাইপ যদি ড্রাই বা নরমাল হয়ে থাকে এবং আপনি যদি আপনার স্কিনের কার্যকারিতা বাড়াতে চান তাহলে আজ থেকেই আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে কোল্ড ক্রিম যোগ করুন।