গর্ভাবস্থায় মেয়েদের শরীরের নানা রকমের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়, যেমন- ওজন বেড়ে যাওয়া, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হওয়া কিংবা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন। গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভ্যাস এবং হরমোন পরিবর্তনের কারণে স্বাভবিক ভাবেই ওজন বাড়বে। তবে সন্তান জন্মের পর এই বাড়তি ওজন নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েন এবং সহজে ওজন কমাতে পারেন না। তবে এই বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে জীবনযাপনের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব। তাহলে চলুন দেখে নেই কিভাবে গর্ভাবস্থা পরবর্তী পেটের মেদ কমানো যায়।
১.গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে পেট সংকোচনের চেষ্টা করুন: সোজা হয়ে বসে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন এবং শ্বাস নেয়ার সময় পেট সংকোচন করুন এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এতে আপনার পেটের টোনিং শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
২.খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন: পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে আমিষ জাতীয় খাবার খুবই কার্যকরী ভূমিকা থাকে। বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডাল সবজি অত্যন্ত কার্যকরী। অবশ্যই পরিমিত পরিমানে খেতে হবে এবং একবারে বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খেতে হবে। এছাড়া ফ্যাটযুক্ত খাবার পরিহার করার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরণের সালাদ, টমেটো ইত্যাদি খাবার বেশি করে খেতে হবে কারণ এই খাবারগুলো হজম করতে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি বার্ন হয় ফলে আপনার শরীরের মেদ কমতে সাহায্য করবে।
৩.ব্যায়াম: গর্ভাবস্থার পর শরীর আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা হলো ব্যায়াম করা। তার জন্য নির্দিষ্টভাবে পেটের ব্যায়াম করতে হবে যেন পেটের মেদ দ্রুত কমে যায়। যেমন নিয়মিত হাটা কিংবা চিৎ হয়ে শুয়ে পা উপরের দিক করে ধরে রেখে ব্যায়াম করতে পারেন।
৪.শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান: মেদ কমানোর ক্ষেত্রে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালেও অনেক উপকৃত হওয়া যায়। কারণ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে প্রতিদিন মায়ের প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়ে থাকে। তাই পর্যাপ্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে যদি শিশুকে দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে মেদ কমাতেও অনেক সাহায্য করবে।
৫.প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন: অতিরিক্ত ক্যালোরি কমানোর জন্য প্রধান শারীরিক ক্রিয়াকলাপগুলি চালিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ তাই এই সময় প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। কারণ যেকোনো ব্যায়াম কিংবা শারীরিক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে হলে শরীরে পানি অনেক প্রয়োজন।
সুতরাং গর্ভাবস্থার পরে পেটের মেদ কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে নিজেকে একটু সময় দিন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।