ডায়বেটিস সারা বিশ্বে একটি বড় সমস্যা। ধীরে ধীরে এই সমস্যা আরো বেড়েই চলেছে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হয় কিছু বাড়তি সতর্কতা। রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ রাখা গেলে ডায়বেটিকস এবং আরও অন্যান্য জটিলতা কমানো সম্ভব। কারণ খাওয়া দাওয়া এবং জীবনযাপনের ক্ষেত্রে যদি একটি নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে ডায়বেটিকস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ঠিক তেমনি কিছু খাবার আছে যা ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য একদমই উপযোগী নয় তাই এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ডায়াবেটিকস রোগীদের কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
সাদা চাল : সাদা চালের ভাত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিকস এর সম্ভবনা বেড়ে যেতে পারে । তাছাড়া বিভিন্ন চাইনিজ খাবারে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট বা ক্যালোরি থাকে। যার কারণে এসব খাবার রক্তে সুগারের মাত্রা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পরিমিত পরিমানে এসব খাবার গ্রহণ করতে হবে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার : মিষ্টি খেতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু ডায়াবেটিকস রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য মিষ্টি খাবার একদমই এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন- আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি বিস্কুট, মিষ্টি দই ইত্যাদি যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার সেগুলো ডায়াবেটিকস রোগীর স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকিস্বরূপ। তাই এই মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
প্যাকেটজাত খাবার : প্যাকেটজাত খাবার একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ প্যাকেটজাত খাবারে থাকে প্রচুর ক্যালোরি এবং সুগার যা ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এসব খাবার পরিহার করতে হবে।
ফলমূল : ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্যে খুব উপকারী হলেও ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্যে সব ফল কিন্তু উপকারী নয়। যেসব ফলে প্রচুর পরিমান সুগার রয়েছে সেসব ফল এড়িয়ে চলতে হবে। তাই ডায়বেটিকস রোগীদের খেজুর, পাকাকলা, তরমুজ কিংবা আখের রস না খাওয়াই ভালো।
প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস : স্টেক, কিমা, সসেজ কিংবা শুটকি এগুলো হলো প্রক্রিয়াজাত খাবার।যা আমাদের শরীরের জন্যে বেশ ক্ষতিকর। ডায়াবেটিকস রোগীদের এসব খাবার যত খাওয়া হবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ততো বাড়বে। তাই এসব খাবার ত্যাগ করাই স্বাস্থ্যের জন্যে নিরাপদ।
সবশেষে ডায়াবেটিকস রোগীদের খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখার পাশাপাশি অবশ্যই নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা কিংবা লাইফস্টাইলের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কারণ এইসকল পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিকস এর ঝুঁকি কমাতে পারে।