ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর সুস্বাদু খাবার ঈদের এই খুশিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এবারের ঈদে কিছু মুখরোচক খাবারের রেসিপির ২য় অংশে চলুন আরও কিছু মজাদার খাবার সম্পর্কে জেনে নেই-
তন্দুরি ক্রিমি চিকেন
এটি প্রস্তুত করতে আপনার প্রয়োজন হবে-
প্রস্তুতপ্রণালী
প্রথমে মুরগিটি ভালো করে ধুয়ে নিন এবং ৮-১০ টুকরা করে পানি ঝরিয়ে নিন। ফ্রেশ ক্রিম ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে মুরগির মাংস ম্যারিনেট করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।এরপর একটি ফ্রাই প্যানে অল্প তেল নিন এবং হালকা আঁচে মুরগি ভেজে নিন। বাকি মসলাগুলো ১ কাপ পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন এবং এতে মাংস দিয়ে দিন। এবার ফ্রেশ ক্রিম ও ১ কাপ দুধ নিয়ে ভালো করে মিক্স করে মাংসে দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। যখন তেল উঠে চকচকে হবে, তখন নামিয়ে ফেলুন।
ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু তন্দুরি ক্রিমি চিকেন।
খাসির শাহী রেজালা
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে মিষ্টি দই এর সাথে কাজু বাদাম ও পেস্তা বাদাম দিয়ে ব্লেন্ডারে খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিন। এরপর একটি পাত্রে মাংস নিয়ে তাতে একে একে টক দই, লবণ, মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আদা রসুন বাটা, পোস্ত বাটা, তেজপাতা, লবঙ্গ, জয়ত্রী, এবং জয়ফল গুড়া দিয়ে খুব ভালোভাবে মেখে ম্যারিনেট করতে হবে। এবার ঢাকনা দিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। পরে চুলায় পাত্র বসিয়ে পরিমাণ মত তেল বা ঘি দিয়ে হালকা গরম হলে এতে ম্যারিনেট করে রাখা মাংস ঢেলে দিতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্না করুন এবং অনবরত নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর ঢেকে দিতে হবে এবং মাঝেমাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দিতে হবে। এভাবে প্রায় ২০ মিনিট রান্না করুন।
এরপর এতে ১ কাপ দুধ মিশিয়ে নিন। আলাদাভাবে কোন পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ধীরে ধীরে মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে এবং ঝোল বেশ ঘন হয়ে আসলে এতে ৬টি আলুবোখারা দিয়ে দিন। খুব অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। এবার দই এবং বাদামের পেস্ট দিয়ে দিতে হবে। আরও ১০ মিনিট রান্নার পর দুই চামচ চিনি এবং কিসমিস দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। চুলা বন্ধ করে কিছুসময় রেখে দিন।
তৈরি হয়ে গেলো মজাদার খাসির শাহী রেজালা।
মাটন কোরমা
উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে মাংস টুকরো করে কেটে নিন এবং ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সব বাটা মসলা, গরম মসলা, টক দই, সিকি কাপ ঘি ও লবণ দিয়ে মেখে নিন এবং এরপর পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিন।
পানি অর্ধেক হয়ে গেলে কেওড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবার হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পাশের চুলায় বাকি ঘি গরম করে পেঁয়াজকুচি সোনালি রং করে ভেজে মাংসের হাঁড়িতে দিয়ে বাগার দিন। তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দুধে ভেজানো জাফরান ওপর থেকে ছিটিয়ে দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে লেবুর রস দিয়ে হালকা নেড়ে, আঁচ একেবারে কমিয়ে প্রায় ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার মত ঢেকে রাখুন।
যখন কোরমা বাদামি রং হবে এবং মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু করবে, তখন নামিয়ে পরিবেশন করুন।