আপনার কি তুলনামূলকভাবে আগে থেকে অতিরিক্ত বেশি ব্রেকআউট হচ্ছে? আর এই কোয়ারিন্টিনে কি ব্রেকআউটের সম্মুখীন হচ্ছেন?
আমরা যারা সচরাচর এত সময় বাসায় থাকিনা তাদের জন্য এই সময়টি অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ত্বকের সঠিক যত্ন বা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের সল্পতার কারণে আমাদের ত্বক অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
যেসব কারণে এখন আপনার ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে -
সারাক্ষন মাস্ক পরে থাকা
সারাক্ষন মাস্ক পরে থাকার কারণে আমাদের মুখ অনেক ঘেমে থাকেন এবং তার পাশাপাশি অক্সিজেন বাইরে যেতে পারে না যার ফলে সব জীবাণু মাস্কে আটকে যায় আর তা আমাদের ত্বকে লেগে দেখা দেয় অ্যাকনে। আর এই অ্যাকনে থেকে সুরক্ষা পেতে চাইলে অবশ্যই ভারি মেকআপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
স্ক্রিনের সামনে একটানা বসে থাকা
আমরা যখন স্ক্রিনের সামনে একটানা বসে কাজ করবেন তখন আপনার স্ক্রিন থেকে যে নীল রশ্মি বের হয় তা আমাদের ত্বক ও চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমাদের ল্যাপটপ বা ফোনের স্ক্রিনে অনেক লুকানো জীবাণু থাকে আর কাজের মাঝে আমরা নিজেদের অজান্তেই চেহারাতে হাত দিয়ে বসি। যার ফলে জীবাণু আমাদের ত্বকে সহজেই চলে আসে। আপনি সুরক্ষিত থাকার জন্য ফেইসে হাত দিবেন না। আর সারাক্ষণ স্ক্রিনের সামনে না বসে একটু বিরতি নিন। যেমন - একটানা স্কিনের সামনে না বসে থেকে ১০ মিনিট ব্রেক নিতে পারেন বা বিশ্রাম নিতে পারেন।
আগের তুলনায় ত্বকে কম মেকআপ লাগানো
যখন আপনি হঠাৎ করে মেকআপ করা কমিয়ে দেন তখন আপনর ত্বক এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করে এবং খুব সহজেই রিয়্যাক্ট করে। তাই যারা সবসময় মেকাপ ব্যবহার করেন তারা হুট করে অনেকদিন ধরে মেকাপ করা বন্ধ করে দিলে তাদের ত্বকে ব্রেকআউটের সমস্যা হয়।
স্ট্রেস, ঘুম, ডায়েট
আমরা যখন অফিসে শারীরিকভাবে যেতাম তখন আমাদের ঘুম ও ডায়েট সম্পূর্ণ ভিন্ন থাকে কিন্তু আমরা যখন বাসায় থাকি তখন আমাদের খাদ্যের তালিকা ও চারপাশের পরিবেশ বদলে যাবার ফলে আমাদের ত্বক ব্রেকআউটের সম্মুখীন হয়।
এখন আমরা সবাই যেহেতু বাসায় থাকি আমাদের মূল সুবিধা হচ্ছে আমরা চাইলে অনেক সময় ধরে আমাদের স্কিনের যত্ন নিতে পারি। তাই আমরা আগে যেমন স্কিনের যত্ন একদমই নিতে পারতাম না, তা করার সুযোগ পাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের উচিত প্রসেসড ফুড না খেয়ে ফ্রেশ সবজি ও ফল খাওয়া। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।