মেয়েদের কাছে অতি পরিচিত শব্দ হলো পিরিয়ড। মাসের এই সময়টায় পেটের ব্যথায় টিকে থাকাই মুশকিল। পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা, বমি বমি ভাব সব মিলিয়ে অসহ্য এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে আমরা মেয়েরা নানা রকমের পন্থা অবলম্বন করে থাকি। এই সময়ে মেয়েদের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ যত্নশীল হতে হয়। অনেকে ব্যথা কমানোর ওষুধ ও খেয়ে থাকেন। তবে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয়। তাই আজকে আমরা জানবো কিছু ঘরোয়া উপায় যার দ্বারাও পিরিয়ড এর ব্যথা কমানো সম্ভব।
গরম পানির সেঁক: মাসিকের সময় প্রচন্ড তলপেট ব্যথা হয়। আর এই তলপেট ব্যথায় গরম পানির সেঁক নিলে পেট ব্যথায় বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং কিছুটা কম ব্যথা অনুভূত হয়। তাই গরম পানির সেঁক দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ। গরম পানি ভরে নিলেই সেঁক দেয়া যায় এই হট ওয়াটার ব্যাগ গুলোতে। এছাড়াও ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় গরম করেও সেঁক দেয়া যায়।
আদা: আদা বেশ উপকারী পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য। কারণ আদার মধ্যে প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আদা দিয়ে চা পান করলে পেট ব্যথা অনেকাংশে কমিয়ে আনে।
ল্যাভেন্ডার অয়েল- পিরিয়ডের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল তলপেটে মালিশ করুন। ল্যাভেন্ডার এ আছে anti-inflammatory properties যা তলপেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এই তেল ব্যবহারের ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
দারুচিনি: পিরিয়ডের সময় ব্যথা ও অস্বস্তি বৃদ্ধি পায় জমাট বাঁধা রক্তপাতের কারণে। তাই দারুচিনি খেলে এই সমস্যা দূর হবে। কারণ দারুচিনিতে রয়েছে আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। গরম পানিতে আধা চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে পান করুন এতে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে ।
পেঁপে: পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
পিরিয়ড এর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে অবশ্যই উপকার পাবেন আশা করছি। তবে ব্যথার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তবে অবশ্যই ডাক্তার এর শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আর এই সময় নিজের বাড়তি যত্ন নিতেও ভুলবেন না যেন।