গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২% মানুষ মাইগ্রেনে আক্রান্ত। আর এর মধ্য থেকে ৭৫% ই হচ্ছেন নারি। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাড়ায় আর এই মাথা ব্যাথার পাশাপাশি কয়েকজন বমি বমি ভাবও অনুভব করেন। মাইগ্রেন সচরাচর অ্যাজমা, দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন ও যাদের নিউরলজিক্যাল ডিসঅর্ডার আছে তাদের মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে।
যেসব কারণে সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যাথা হয়ে থাকেঃ
১। খালি পেট
দীর্ঘ সময় ধরে খালি পেটে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যাথা হয়ে থাকে। খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়, যার কারণে তখন মাইগ্রেনের ব্যাথা বেড়ে যায়।
২। মিষ্টি খাবার
অতি মাত্রায় মিষ্টি খাবার খেলে রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে যায়। তাই চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ইন্সুলিনের মাত্রার ক্ষরণ হতে থাকে ফলে রক্তে চিনির মাত্রা কমে যায়। আর এই উঠানামার কারণে মাইগ্রেনের ব্যাথা বেড়ে যায়।
৩। জেনেটিক
পরিবারের বেশিরভাগ মানুষের যদি মাইগ্রেনের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বংশগতভাবে এই ব্যাথা দেখা দেয়।
৪। রোদ
রোদে দীর্ঘ সময় থাকলে বা তাপমাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, যদি আদ্রতা বেশি থাকে সেক্ষেত্রে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে।
৫। অতিরিক্ত শব্দ
অতিরিক্ত শব্দ বা একটানা উচ্চ মাত্রায় গান শুনতে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যাথা বৃদ্ধি পায়।
৬। অতিরিক্ত কাজের চাপ
কাজের চাপ বেশি থাকলে বা বেশি চাপ নেয়ার কারণে মাইগ্রেন হতে পারে। কারণ তখন একজন মানুষ সাধারণত যে পরিমাণ বিশ্রাম নিয়ে থাকে তাতে ব্যাঘাত ঘটে এবং দেখা দেয় মাইগ্রেনের ব্যাথা।
৭। ক্যাফেইন
অনেকে আছেন যারা সকালে উঠে বা কাজের চাপে কফি খেয়ে তা কমিয়ে রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই সময় কফি না খেলে ধিরে ধিরে মাইগ্রেনের ব্যাথা বেড়ে যায়।