মেকআপ দিয়ে কীভাবে সূক্ষ্ম বলিরেখা লুকাবেন?

বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া আর এটির লক্ষণ আপনার ত্বকে দেখা যাওয়াটাও স্বাভাবিক । যদি আপনি মরিয়া হয়ে এগুলি থেকে কিছুটা অবকাশ খুঁজছেন, মেকআপের মাধ্যমে এগুলিকে ঢেকে রাখা

কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে ।

 কিন্তু আপনি কি আপনার মেকআপের মাধ্যমেও সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার সাথে লড়াই করছেন? আর ঘাবড়াবেন না। এই মেকআপ টিপসগুলির সাথে বার্ধক্যের অগ্নিপরীক্ষাকে বাই-বাই বলুন।

১ ।    সবসময় ময়েশ্চারাইজ করুন : 

আপনি সবসময় মেকআপ লুকের আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।  আপনার ফেস এর  ক্যানভাস হাইড্রেটেড এবং যথেষ্ট পরিপুষ্ট হলেই একটি ত্রুটিহীন মেকআপ লুক হতে পারে। শুষ্ক এবং নিস্তেজ ত্বক বলিরেখার আরো বাড়িয়ে দেয়। 

২ ।  একটি আই ক্রিম দিয়ে আপনার আন্ডার-আই ডি পাফ করুন :

আপনি যত্ন সহকারে আপনার মুখ প্রেপ করার পরে, আপনার চোখের নীচের অংশে পুষ্টির ব্যাপারটি মিস করতে ভুলবেন না। ডার্ক সার্কেল, চোখের ব্যাগ এবং চোখের নিচে হালকা ঝুলে যাওয়া ,ম্যাচিউর্ড ত্বকের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য, তাই নিশ্চিত করুন যে এই ত্বকের সমস্যা  আপনার মেকআপের মাধ্যমে যাতে না ঘটে , তাই আগেই ডি পাফিং আইক্রিম ব্যবহার করুন ।

৩।   একটি হাইড্রেটিং ফেসিয়াল মিস্ট ব্যবহার করুন

আপনার ত্বক ম্যাচিউর্ড হওয়ার সাথে সাথে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু শুষ্ক ত্বকের টেক্সচারগুলি মেকআপের মাধ্যমে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখাগুলিকে  হাইলাইট, তাই ফেসিয়াল মিস্ট দিয়ে আপনার মুখের হাইড্রেশন সিল করা ভাল।

৪।   একটি পোর-ব্লারিং ফেস প্রাইমার ব্যবহার করুন

পোরস, রেখা এবং বলিরেখা একদম ঢেকে ফেলা কঠিন কিন্তু প্রাইমার ব্যবহার না করেই আপনার মেকআপকে সিল করা আরও কঠিন। আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি যে আপনি কোন চেষ্টার ত্রুটি না করে এমন একটি প্রাইমার নিন যা আপনার মেকআপকে সেট করবে ।

৫।  সঠিক ফাউন্ডেশন বাছাই করুন :

ক্রিজহীন এবং বয়সহীন দেখতে আমরা আপনাকে যে সেরা টিপ দিতে পারি তা হল এমন একটি ফাউন্ডেশন যা ভারী নয়। ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশনগুলি ম্যাচিউর্ড ত্বকে ক্রিজ এবং বলিরেখা গুলি আরো হাইলাইট করার প্রবণতা রাখে, বিশেষ করে যদি আপনি যদি ভালো ব্লেন্ডিং করতে না পারেন ।

 আপনার ফাউন্ডেশন বাছাই করার সময় সঠিক শেড বেছে নিতে ভুল করবেন না। ভুল ফাউন্ডেশন শেড আপনার মুখকে কালচে এবং নিস্তেজ করে তুলতে পারে, এইভাবে আপনার ম্যাচিউর্ড ত্বকের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই লাইট ওয়েট , ইজি ব্লেন্ডিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

৬।  কালার ক্যারেক্টর , কনসিলার ব্যবহার করুন :

আপনার মুখের ডার্ক সার্কেল , ক্রিজ এবং হাসির রেখাগুলি নিয়ে চিন্তিত? আপনার ফাউন্ডেশন বাফ করার আগে একটি কালার ক্যারেক্টর এবং কনসিলার রুটিন চেষ্টা করুন। কমলা কনসিলারগুলি সাধারণত হাইপারপিগমেন্টেশন সমস্যাগুলিকে ঢেকে দেয় যা ম্যাচিউর্ড ত্বকে একটি সাধারণ দৃশ্য।

৭।  বেশি পাউডার দিয়ে কেকি করে ফেলবেন না :

ফাইন লাইনগুলি এবং বলিরেখাগুলি আড়াল করার চেষ্টা করার সময় আপনি যে সবচেয়ে বড় ভুল করতে পারেন তা হল আপনার মুখে খুব বেশি পাউডার দিয়ে প্রেপ করা। আপনার মুখের উপর অতিরিক্ত তেল যেমন মেকআপ নষ্ট করতে পারে, খুব বেশি পাউডার ও অন্য প্রোডাক্ট এর উপর স্তর করে মেকআপ বিদ্ধস্ত করে ফেলে। ফেস অত্যন্ত ম্যাট করে ফেললে মুখে ক্রিজ এবং ফাইন লাইন বড় করে তোলে, এমনকি কখনও কখনও ক্র্যাক আপ আপনাকে বয়স্ক ও দেখায়। 

৮।  উজ্জ্বল লিপস্টিক ব্যবহার করুন :

ঠোঁটে নিখুঁত লিপস্টিক টাচ ছাড়া কোনও মেকআপ লুক সম্পূর্ণ হয় না। এমন একটি শেড ব্যবহার করুন যা আপনার মেকআপ কমপ্লিমেন্ট করে এবং বেশি বেশি দেখায় না। স্মাজ এড়াতে আপনার ঠোঁটের আকার অনুযায়ী আপনার ঠোঁট লাইন করুন।  গাঢ় এবং ভ্যাম্পি ঠোঁটের রঙগুলি থেকে দূরে থাকা ভাল কারণ এগুলি আপনার ঠোঁটকে আরও পাতলা করে তোলে। পরিবর্তে, গোলাপী এবং মভ রঙের শেডগুলি বাছাই করুন। নিশ্চিত করুন যে আপনি এমন একটি লিপস্টিক বেছে নিচ্ছেন যা সহজে স্মাজ হয়না।

তাহলে সুন্দরীরা ক্রিজেলেস, সিমলেস মেকআপ উপভোগ করতে প্রস্তুত?