মেহেদির রং গাঢ় হচ্ছে না ?

 

ঈদ আর মেহেদি যেন ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। মেহেদি রাঙা হাত ছাড়া তো ঈদ ভাবাই যায়না। ঈদ এর আগের রাতেই শুরু হয় মেহেদি লাগানোর ধুম। আমাদের সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে কার মেহেদি কত বেশি সুন্দর আর কার মেহেদির রং কত বেশি গাঢ়। বাটা মেহেদির পাশাপাশি বাজারে এখন টিউব বা কোণ মেহেদিও পাওয়া যায় যা দিয়ে নানা রকমের ডিজাইন করা যায়। তবে মন মতো রং নাহলে কিংবা অন্যদের থেকে রং কম হলে মনটাই যেন খারাপ হয়ে যায়।তাই আজকে আমরা জানবো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে আমরা মেহেদির রং আরো বেশি গাঢ় করতে পারি ।

 দীর্ঘসময় মেহেদি লাগিয়ে রাখা : মেহেদির পাকা রং পেতে হলে দীর্ঘসময় হাতে লাগিয়ে রাখতে হবে। মেহেদি যত বেশি সময় হাতে রাখবেন এর রং তত গাঢ় হবে। চেষ্টা করবেন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লাগিয়ে রাখার অথবা রাতে ঘুমানোর  আগে লাগিয়ে ঘুমাতে। এরপর মেহেদি শুকিয়ে গেলে পানি ধরা থেকে যত সম্ভব বিরত থাকুন। দেখবেন সময় এর সাথে সাথে রং গাঢ় হচ্ছে।   

সরিষার তেল: মেহেদি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হাত থেকে ঘষে উঠিয়ে নিন। এরপর একটুখানি সরিষার তেল নিয়ে হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন দেখবেন হাত গরম হয়ে গিয়েছে। সরিষার তেল আমাদের হাত কে গরম করে মেহেদির রং গাঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে।

লেবু ও চিনির মিশ্রণ : একটি পাত্রে চিনি ও পানি নিয়ে গরম করে নিন। এরপর মিশ্রণটি  নামিয়ে ঠান্ডা করে তাতে কয়েক ফোটা লেবুর রস  মিশিয়ে নিন।দেখবেন আঠালো একটি মিশ্রণ তৈরী হয়েছে। এরপর মেহেদি শুকিয়ে এলে মেহেদির উপর তুলোর বলের সাহায্যে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। শুকনো মেহেদির উপর বার বার লাগিয়ে নিলে মেহেদি হাতের সাথে লেগে থাকে এতে রং গাঢ় হয়।  

বাম এর ব্যবহার: মেহেদি শুকানোর পর হাত থেকে ঘষে তুলে নিন। এরপর একটুখানি বাম বা ভিক্স  নিয়ে হাতে ম্যাসাজ করুন। আমাদের সবার ঘরেই এই জাতীয় বাম কমবেশি থেকে থাকে।বামের প্রলেপের কারণে আপনার হাতে পানি লাগতে পারবে না এবং বাম আপনার হাতকে ভিতর থেকে গরম করে মেহেদির রং দীর্ঘস্থায়ী এবং গাঢ় করে।

ভরাট ডিজাইন : হাতের সব ডিজাইন চিকন করে না করে কিছু কিছু অংশে ভরাট ডিজাইন করলে ওই জায়গার রং অনেক গাঢ় হয় এবং হাতের ডিজাইনও ফুটে উঠে। ভরাট করে হাত ভরা মেহেদি দিলে রং যেমন ফুটে উঠে ঠিক তেমনি দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে। 

তাহলে আশা করছি এই ঈদে মেহেদির রং নিয়ে আর কোনো দুশ্চিন্তাই নেই। উপরের যেকোনো একটি টিপস ব্যবহার করুন আর পেয়ে যান টুকটুকে মেহেদি রাঙাহাত।