আরবি বারো মাসের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত মাস হলো রমজান। রমজান মাস হলো আত্মসংযমের মাস। এ মাসে পবিত্র কোরান নাজিল হয়। রোজার মাধ্যমে আল্লাহভীতি অর্জিত হয় এবং জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জান্নাতে প্রবেশের একটি সহজ মাধ্যম হলো রোজা কারণ এ মাসে অতীতের সবরকম গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই রোজার মাসে কিছু কাজ বেশি বেশি করা এবং কিছু কাজ বর্জন করা উচিত। তাহলে দেখে নেয়া যাক রোজার সময় রোজাদারদের জন্য কিছু করণীয় এবং বর্জনীয়।
করণীয় :
১। বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
২। বেশি করে নফল নামাজ এবং নিয়মিত তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করতে হবে।
৩। চোখের হেফাজত করা এর জন্য রমজান মাসে টিভি দেখা , নাচ গান থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৪। সঠিক সময়ে ইফতার এবং সেহরি খেতে হবে।
৫। বেশি বেশি তওবা এবং জিকির করতে হবে।
৬। বেশি করে দান সদকা করতে হবে।
৭। নিজে ইফতার করার পাশাপাশি অন্য মুসলিমকে ইফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। রমজান হলো দোয়া কবুলের মাস। তাই এ সময় বেশি করে একে অপরের জন্য দোয়া করতে হবে।
৯। জামায়াতের সাথে ফরজ নামাজ এবং তারাহবীর নামাজ আদায় করতে হবে।
১০। রমজান মাসে ওমরা পালনে হজের সাওয়াব পাওয়া যায়। তাই সামর্থ্য থাকতে রমজান মাসে ওমরা পালন করার চেষ্টা করতে হবে।
বর্জনীয় :
১। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো খাবার না খাওয়া এবং পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। মিথ্যা না বলা , গীবত না করা , সকল প্রকার অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। চোখের হেফাজতের জন্য কোনো রকম খারাপ কাজে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪। হারাম খাবার এবং পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫। রমজানে খাদ্য উৎসব থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬। যথাসম্ভব ভাজাপোড়া এবং তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৭। যেসব কথা নিজে বলা গুনাহ সেসব কথা শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৮। সবরকম পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯। রমজান হলো সংযমের মাস। এ মাসে অতিরিক্ত কেনাকাটা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
১০। রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা যাবেনা।
রমজান হলো অনেক ফজিলত পূর্ণ মাস। তাই আমাদের সকলের রমজান মাসের এসব করণীয় এবং বর্জনীয় মেনে চলা উচিত।