লকডাউন ওঠার পর সুরক্ষিত থাকতে করণীয়

মরণঘাতি করোনা ভাইরাস যেন পিছু ছাড়ছে না। প্রতিটি দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এতদিন চলছিল লকডাউন। কিন্তু এরই মধ্যেই সারাদেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সীমিত পরিসরে চলবে গনপরিবহনও। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, লকডাউন শেষ হওয়ার অর্থ এই নয় যে সবকিছু ঠিক ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। লকডাউন উঠে গেলেও নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য যতদিন পর্যন্ত এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কয়েকটি বিষয়ের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা

এখন যে অভ্যাসে আপনি অভ্যস্ত, সেই হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাসটি লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও চালিয়ে যাবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলতে হবে সবাইকে।

মাস্ক ব্যবহার করা

নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির বাইরে পা দিলেই অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। জনবহুল এলাকায় মাস্ক ছাড়া যাবেন না। আপনি যদি সর্দি বা কাশি-তে ভোগেন তবে মাস্ক পরে থাকুন। বাড়ির অসুস্থ রোগীর কাছে গেলে মাস্ক পরে যাবেন। হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন।

শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা

লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও শারীরিক দূরত্ব সকলকেই মেনে চলতে হবে। হাট-বাজার থেকে শুরু করে সমস্ত জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের। এটি না মানলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও।

পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা

লকডাউন উঠে যাবার পরে নিজের বাড়ির অনুষ্ঠান বন্ধ রাখুন। পাশাপাশি অন্যের বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করুন। বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো পার্টি বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান একেবারেই করবেন না। পরিবারকে সুস্থ রাখতে এটি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন।

পার্ক ও সিনেমা হল এড়িয়ে চলুন

লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে বাচ্চাকে নিয়ে পার্কে যাবেন না। পাশাপাশি কয়েক মাস সিনেমা হলে যাওয়াও এড়িয়ে চলুন। কারণ কার শরীরে করোনা ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে তা আপনি জানতে পারবেন না, যার থেকে সংক্রামিত হতে পারেন আপনিও। তাই কয়েক মাস এই সমস্ত জায়গা থেকে দূরে থাকাই ভালো।

লকডাউন উঠে যাবার পরেও আইইডিসিআর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন।

 

সূত্র: বোল্ডস্কাই