চোখের পাপড়ি হলো চোখের সুন্দর। ঘন আঁখি পল্লবের কত প্রশংসা সবখানে। তার জন্য আমাদের আছে অনেক রকম ফেক ল্যাশ , মাস্কারা আরো কত কি ।
চোখের পাপড়ির উপর আমরা অনেক কিছুই এপ্লাই করে থাকি , কার্লিং, মাস্কারার ঘন কোট , হিট কার্লিং , ল্যাশ এর আঠা কত কি !! কিন্তু আমরা কোনো রকমে মেকআপ তুলেই শেষ, আলাদা কোনো কেয়ার করিনা আমরা। তাতে প্রচুর ল্যাশ ফলআউট হয় , সহজে গ্রো করেনা আবার লম্বা ও হতে চায় না ।
কিভাবে ল্যাশ স্বাস্থকর , ঘন লম্বা করা যায় নিয়েই আজকের এই লিখা টি।
সাধারণত যেসব সমস্যা আইল্যাশ এ হয় তা হলো- ল্যাশ পরে যাওয়া , শুষ্ক হয়ে যাওয়া , ভেঙে যাওয়া , নতুন গ্রো না করা।
আর এই সব সমস্যা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। যেমন -
চোখের পাপড়ির ড্যামেজ কমানোর এবং হ্যালদি করার কিছু উপায় -
হয়তো আপনার পাপড়ি একটু ড্যামেজ হয়েই গিয়েছে কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। কিছু সহজ পদ্ধতি , রুটিন , অভ্যাস নিয়মিত করলে এই সমস্যার সমাধান ও হবে আর আপনি পাবেন সুন্দর , স্বাস্থকর আইল্যাশ। যেমন :
- মুখের সাথে সাথে চোখের মেকআপ ও যত্ন করে তুলবেন।
- ল্যাশ ব্রাশ দিয়ে ভালো ভাবে ব্রাশ করবেন ।
- ক্যাস্টর অয়েল , আর্গন অয়েল এপ্লাই করতে পারেন। এতে পাপড়ি ময়শ্চারাইজ থাকবে তার সাথে নতুন পাপড়ি ও গজাবে।
- প্রতিদিন ভারী কোট করে মাস্কারা ,ফলস আইল্যাশ, এপ্লাই করা পরিহার করুন।
-মাস্কারা বা আঠা তুলার সময় অতিরিক্ত ঘষাঘষি করবেন না। আলতো হাতে চেপে চেপে আস্তে ধীরে মেকআপ রিমুভ করুন।
-ভিটামিন ই, আলমন্ড অয়েল ও ময়শ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন , তাতে পাপড়ি সফ্ট হবে সহজে ভেঙে যাবে না।
- হেলদি ডায়েট প্ল্যান যাতে থাকবে প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি , পানি , ফল ত্বক , চুলের যত্নের জন্যই ভালো।
চোখের পাপড়ি আমাদের চোখের অত্যন্ত কাছের একটি অঙ্গ। তাই যেকোনো কিছু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন যে সেটা আপনার চোখের জন্য উপযুক্ত কিনা , তাতে কোনো ক্ষতিকর ক্যামিকেল আছে নাকি। এত প্রতিদিনের করা ছোট ছোট খেয়াল ই পারে আপনাকে সবসময় ফ্রেশ এবং হেলদি রাখতে। সুন্দর , সুচিন্তিত অভ্যাস ই পারে আপনার ত্বকের , চুলের চোখের পাপড়ির এমন কি নখের চমৎকার নিতে।