শিশুদের ত্বক হয় অনেক নরম, কোমল এবং স্পর্শকাতর। তাই শিশুদের ত্বকের যত্নের প্রতি রাখতে হয় বিশেষ খেয়াল। অনেক সময় দেখা যায় মশার কামড়ে শিশুদের ত্বক অনেক চুলকায় এবং ত্বকের মধ্যে ফোলাভাব দেখা দেয়। এতে করে শিশুরা অনেক কান্নাকাটি করে আর অস্বস্তিতে ভোগে। তাই আজকে জেনে নিন কিভাবে ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে শিশুর ত্বকের চুলকানি এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল: ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। আর অ্যালোভেরা জেলে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যাকশন যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া রোধ করতে সহায়তা করে । তাই শিশুর মশার কামড়ের জায়গায় এলোভেরা জেল লাগিয়ে নিন এতে করে শিশু চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবে।
ভিনেগার: শিশুর ত্বকে যেখানে মশার কামড় রয়েছে তার উপর এক ফোঁটা ভিনেগার লাগিয়ে নিলে চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। এর প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকের জ্বালা বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। এতে ফোলাভাব ওর চুলকানি অনেক কমে যাবে।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা (সোডিয়াম বাইকার্বোনেট) দ্রুত ত্বকের পিএইচ মাত্রা পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিয়ে একটি ছোট নরম কাপড় তাতে চুবিয়ে নিন। তারপর কাপড়টি নিয়ে সেটিকে কামড়ের স্থানে আলতো করে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। এতে চুলকানি ও ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে।
মধু: মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল প্রপার্টিস এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা শিশুদের মশার কামড়ের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি প্রতিরোধ করতে পারে এবং পাশাপাশি শিশুর ত্বক রাখে কোমল ও নরম।
তুলসী: তুলসীতে আছে একটি রাসায়নিক যৌগ, ইউজেনল যা চুলকানির বিরুদ্ধে ব্যাপক কার্যকর। তাই তুলসী পাতা পানিতে সিদ্ধ করে বা পেস্ট করে শিশুর ত্বকের যেখানে মশার কামড় আছে তাতে লাগিয়ে নিন। এতে করে শিশু খুব দ্রুত চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবে।
বরফ: শিশুর ত্বকে যখনই মশার কামড় দেখবেন কিংবা যেকোনো ফোলাভাব তখনি সেই স্থানে বরফ লাগিয়ে নিলে ফোলা অনেক কমে যাবে। তবে শিশুর যাতে ঠান্ডা লেগে না যায় সেই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
তাহলে আশা করছি এই ঘরোয়া উপায়গুলো বা প্রতিকারগুলি অবলম্বন করলে শিশুর ত্বক নিরাময় কার্যকর হবে। যাদের বাসায় ছোট্ট সোনামনি আছে তাদের মশার কামড় নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।