সব প্রোডাক্টের কি প্যাচ টেস্ট করা উচিত?

যদি আপনি মনে করে থাকেন যে প্যাচ টেস্ট আসলে সেনসিটিভ স্কিন ছাড়া কারো প্রয়োজন হয়না তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। হ্যাঁ, সবার আসলেই প্রতিটা প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা উচিত। অনেকে আছেন যাদের ধারণা হচ্ছে প্যাচ টেস্ট আসলে সেনসিটিভ স্কিনের জন্য। এটি ভুল ধারণা। সবারই প্যাচ টেস্ট করা উচিত, কারণ অনেক প্রোডাক্টে অনেক ধরণের উপাদান রয়েছে যা সবাইকে স্যুট করেনা। যেমন আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে আপনি যে প্রোডাক্ট টি ব্যবহার করে অনেক ভালো ফলাফল পেয়েছেন, আপনার পাশেই কেউ হয়ত বিপরীত ফল পেয়েছেন।
 

কারণ কি হতে পারে?

কারণ একটাই, সব প্রোডাক্ট সবাইকে স্যুট করেনা, তাই শুধুমাত্র যে “HYPOALLERGENIC” উল্ল্যেখ থাকলেই আপনার স্কিনে কোন ভাবে রিঅ্যাক্ট করবেনা তা কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রোডাক্টের পিছনে যেসব উপাদানের নাম থাকে তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়, কারণ ওই প্রোডাক্টে এমন কোন উপাদান থাকতে পারে যা আপনার স্কিনে রিঅ্যাক্ট করতে পারে।

“তাই যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে আপনার উচিত প্যাচ টেস্ট করা”

 তারপরেও প্রোডাক্টের অন্য যেসব উপাদানের জন্য আপনার স্কিন রিঅ্যাক্ট করতে পারে তা হলঃ

  • Aluminium compounds
  • Alpha-hydroxy and beta-hydroxy acids, such as glycolic acid and salicylic acid
  • Synthetic fragrances
  • Metals
  • Sulphates

কিভাবে প্যাচ টেস্ট করবেন?

প্যাচ টেস্ট মূলত ৩ ধরণের হয়ে থাকে –

১। অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন

২। পোরস ক্লগিং

৩। স্কিন ইরিটেশন

অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন এর টেস্টের ক্ষেত্রে প্যাচ টেস্টটি ঘাড়ে করতে হবে কারণ এই জায়গায় আমাদের স্কিন অনেক পাতলা। তাই আপনার এই উপাদানে কোন ধরণের সমস্যা হলে তা খুব দ্রুত রিয়াক্ত করবে।

পোরস ক্লগ বা ব্রেকআউট টেস্টের ক্ষেত্রে আপনার থুতনি বা T zone এ ব্যবহার করতে হবে।

আর সবশেষে স্কিন ইরিটেশন টেস্টের ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার স্কিনের কোন জায়গা খুব সহজেই রিঅ্যাক্ট করে। যেমন কারো কারো ক্ষেত্রে ভ্রূ এর মাঝে, কারো গালের নিচে, কারো আবার ঠোঁটের নিচে। তাই সেসব জায়গায় প্রোডাক্টটি ব্যবহার করে প্যাচ টেস্ট করতে হবে।
 

মাস্ক শিটের প্যাচ টেস্ট

শিট মাস্ক এবং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের প্যাচ টেস্ট একই। এমনকি, এই প্রোডাক্ট আপনার স্কিনে কাজ না করলে আপনি সহজেই তা বুঝতে পারবেন। আপনি শিট মাস্কের প্যাচ টেস্টও ২ ভাবে করতে পারেন-

প্রথম পদ্ধতি –

প্যাকেজের কোণার একটি ছোট অংশ কেটে নিন এবং কিছু নির্যাস বের করে নিন। এটি আপনার গালের পাশে ব্যবহার করুন। কিছুক্ষন পর আপনি যদি চুলকানি বা জ্বালা পোড়া অনুভব করে থাকেন তাহলে ক্লিঞ্জার দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি –

প্যাকেজের কোণার একটি ছোট অংশ কেটে নিন এবং কিছু নির্যাস বের করুন। এটি আপনার কানের নীচে বা ঘাড়ের পাশে ব্যবহার করুন। এবার প্যাকেজটি ভালো করে সিল করে ফ্রিজে রেখে দিন। জ্বালা পোড়া করে কিনা তা দেখার জন্য পরদিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

প্যাচ টেস্ট সর্বোচ্চ কতক্ষনের জন্য রাখবেন?

সবাই বলে প্যাচ টেস্ট ২৪ ঘণ্টার জন্য কিন্তু আমরা রিকমেন্ড করি যে ভালো ফলাফলের জন্য প্যাচ টেস্ট অবশ্যই আপনি ৭ দিন নিয়মিত করবেন যার ফলে প্রোডাক্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি রিঅ্যাক্ট না করেও থাকে ধীরে ধীরে জ্বালা পোড়া অনুভব করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ৭ দিনের মধ্যে কোন জ্বালা পোড়া বা অসস্থি অনুভব না করে থাকেন তাহলে আপনি প্রোডাক্টটি ব্যবহার করতে পারবেন।

যেসব ধরনের রিঅ্যাকশন থেকে সতর্ক থাকতে হবেঃ

১। অতিরিক্ত রিঅ্যাকশনঃ যখন চেহারাতে চুলকানি, লালচে ভাব, বাম্পি, ব্যাথা ইত্যাদি অনুভূত হবে তখন দ্রুত প্রোডাক্টটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন।

২। মাঝারি রিঅ্যাকশনঃ এই ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট স্কিনে ব্যবহার করার পর আগে যেসব জায়গায় ব্রেকআউট হতোনা সেসব জায়গায় ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে।

৩। কোন রিঅ্যাকশন হয়নাঃ আর যদি প্রোডাক্টটি কখনও রিঅ্যাক্ট না করে থাকে সেক্ষেত্রে প্রোডাক্টটি আপনি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন।