সিজারের দাগ কমাতে ঘরোয়া টোটকা

 

মাতৃকালীনসময় সব মায়ের জন্যই অনেক একটি বিশেষ যাত্রা। এই সময় মায়েদের শারীরিক ও মানসিক দুটোই পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর যদি সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়ে থাকে তাহলে দরকার বিশেষ যত্ন। কিন্তু এই সময় সিজারের দাগ নিয়ে মায়েদের মনে একটা দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। তার জন্য বাজারেও রয়েছে অনেক রকমের প্রসাধনী। কিন্তু যারা কেমিক্যাল এর ব্যবহার করতে চাননা তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া কিছু টোটকা। খুব সামান্য এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত কিছু উপকরণের মাধ্যমে সিজারের দাগ কমানো সম্ভব। চলুন তাহলে দেখেই নেই।

অ্যালোভেরা জেল: মাতৃত্বজনিত দাগের জন্য অ্যালোভেরা জেল সবচেয়ে ভালো উপকরণ। পোড়া ক্ষতই হোক বা অপারেশনের দাগ যেকোনো দাগ সারাতে অ্যালোভেরা সমান উপকারী। কারণ অ্যালোভেরা তে আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী প্রপার্টিস এবং প্রাকৃতিক নিরাময় এজেন্ট যা দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে চা চামচ দিয়ে এর জেল করে নিয়ে তা দাগের জায়গায় ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে দিয়ে ধুয়ে নিন। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই দেখবেন দাগ অনেকাংশে কমে এসেছে।

মধু: মধু ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে আছে প্রোবায়োটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষকদের মতে, মধু নতুন টিস্যু গঠনে সহায়তা করে এবং ক্ষত চিহ্নগুলির দাগ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া মধুতে অ্যান্টিসেপটিক প্রকৃতির উপাদান থাকাতে ক্ষত স্থানে সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। ১ থেকে ২ চা চামচ মধু নিয়ে গোসলের আগে দাগের জায়গায় ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। টানা কয়েকদিন এই উপায়টি ব্যবহার করলে দাগ হালকা হতে শুরু করবে।

চিনি: মাতৃত্বজনিত দাগ দূর করার জন্য চিনির এই মিশ্রণটি খুবই উপকারী। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ চিনি, আধা চা চামচ অলিভ অয়েল, কয়েক ফোটা লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং দাগের জায়গায় ভালোকরে কিছুক্ষন ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন গোসলের আগে এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করতে পারেন। লেবু তে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং প্রপার্টিস, অলিভ অয়েল এ আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী প্রপার্টিস এবং চিনি প্রাকৃতিক স্ক্র্যাব যা ত্বক এক্সফোলিয়েট করে। তাই এই মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহারে আস্তে আস্তে আপনার দাগ হালকা হতে থাকবে।

কোকোয়া বাটার: সিজারের দাগ দূর করতে আরেকটি উপকারী উপাদান হল কোকোয়া বাটার। কোকোয়া বাটারে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে বেশ উপকারী কাজ করে। একই সঙ্গে কোকায়া বাটার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালনে সাহায্য করে, সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ,ত্বকের দাগ বা অন্যান্য চিহ্নগুলি মসৃণ করে আর্দ্র ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। 

এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আশা করছি আপনারা অবস্যই উপকৃত হবেন। তবে খেয়াল রাখবেন ম্যাসাজ সব সময় ক্লকওয়াইজ বা অ্যান্টিক্লকওয়াইজ করবেন। ম্যাসাজ করার সময় ব্যথা অনুভব করলে ম্যাসাজ বন্ধ রাখবেন এবং অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।