হাইপারপিগমেনটেশন কি?

অনেকেরই স্কিনে নরমাল টোনের চাইতে গাড় টোন দেখা যায়। আর এই গাড় রং কেই Hyperpigmentation বলে। আপনার স্কিনের মেলালিনের পরিমাণ যখন বেরে যায় তখন Hyperpigmentation দেখা দেয়। Melanocytes নামক এক ধরনের স্কিন সেলের জন্য এটি উৎপন্ন হয়ে থাকে।

তাছাড়াও কিছু Medication এর কারনে Hyperpigmentation হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের যখন হরমোন গত পরিবর্তন হয় তখন Hyperpigmentation হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু রোগ রয়েছে যেমন Addison’s disease, এর কারণে Hyperpigmentation হতে পারে।

Hyperpigmentation অনেক ধরনের হয় এবং তার মধ্যে সব থেকে কমন হচ্ছে melasma, sunspots, এবং Post Inflammatory Hyperpigmentation

Melasma: Melasma সাধারণত হরমোন গত পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। এবং মূলত গর্ভকালীন অবস্থায় melasma হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। Hyperpigmentation শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ সময় পেট বা চেহারা তে দেখা যায়।

Sunspot: যারা সারাক্ষণ সূর্যের আলো তে থাকেন শুধু তাদের ই sunspot দেখা দিতে পারে। এগুলো হাত বা ত্বকে স্পট আকারে হতে পারে।

Post Inflammatory Hyperpigmentation: এগুলো তখনই হতে পারে যখন আপনার ত্বকে আঘাত বা প্রদাহ  থাকে। মূলত অ্যাকনের কারণে  এই  post inflammatory hyperpigmentation হয়ে থাকে। 

 

Post inflammatory hyperpigmentation কি?

Post inflammatory hyperpigmentation কে PIH ও বলা হয়। এই ধরণের PIH চেহারা বা শরীরে হয়ে থাকে। এটা ফ্ল্যাট স্পট বা ডিস্কালারেশনের মাধ্যমে দেখা দিয়ে থাকে। ত্বকের স্তরের উপর নির্ভর করে গোলাপি থেকে লাল, বাদামি থেকে কালো রঙে দেখা দেয় (রঙের ভিন্নতা ডিস কালারেশনের গভিরতার উপর নির্ভর করে)

PIH এর মূল কারণ হচ্ছে মেলালিন এর বৃদ্ধি। এগুলো হতে পারে অ্যাকনে, একজিমা, অ্যালার্জি, বার্ন, লেজার রিসারফেসিং ইত্যাদি কারণে। সাধারনত PIH দেখতে বাদামি রঙের হয় এবং এতে জ্বালা পোড়া হয়। আপনি যদি ভাগ্যবান হয়ে থাকেন তবে এটি কয়েক সপ্তাহ থাকবে আর তা না হলে এটি ২ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাড় স্কিন টোনের মানুষের এটি বেশি দেখা যায়।

 Post inflammatory hyperpigmentation থেকে বিরত থাকার উপায়

  • স্কিনে যদি কখনও কোন প্রকারের স্পট থেকে থাকে তাহলে তা খোঁচানো যাবেনা। খোঁচানোর ফলে PIH আরও বেড়ে যেতে পারে। আপনার স্কিনে যদি কখনো কোন ব্রেকআউট দেখেন তবে আলতোভাবে তার পরিচর্যা করবেন
  • যেসব স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট স্কিনের জন্য অসহনীয় হতে পারে সেসব প্রোডাক্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা বজায় রাখুন। যেমন AHA এবং Retinol আপনার ত্বকে অসহনীয় হতে পারে। তাই যে প্রোডাক্ট ই ব্যবহার করেন না কেন যদি ত্বকে কোন অসস্থি বোধ করেন তাহলে সাথে সাথে তা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিবেন।
  • বাইরে বের হবার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। UV এর কারণে আমাদের স্কিনে hyperpigmentation দেখা দিতে পারে। তাই এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত যেটা তে UVA এবং UVB রয়েছে।
  • PIH এর কারণে যে সব স্পট দেখা দিবে তা কখনো স্ক্রাব করে রিমুভ করার চেষ্টা করবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন।
  • কোন প্রকারের কসমেটিক সার্জারি যেমন লেজার সার্জারি তে যাবার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।

তাছাড়া অনেক কারণে আপনার স্কিনে Hyperpigmentation প্রোডাক্ট গুলো ঠিকভাবে নাও কাজ করতে পারে, যেমন-

  • সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা
  • প্রোডাক্ট টি কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করা। যেমন, বেশিরভাগ প্রোডাক্টের ফলাফল পেতে কমপক্ষে ৬-৮ সপ্তাহ লেগে থাকে। তাই যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন না কেন তা আপনার স্কিনে মানিয়ে নিতে সময় দিন। খুব দ্রুত প্রোডাক্ট পরিবর্তন করবেন না।
  • সবশেষে, কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য দিয়ে কখনো অতিমাত্রায় এক্সফলিয়েট করবেন না। কিন্তু আপনি যদি দিনে একবার বা সপ্তাহে ১-৩ বার এক্সফলিয়েট করেন তাহলে ঠিক আছে।

 

যদি আপনি hyperpigmentation এর পাশাপাশি অন্য কোন লক্ষন দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না। Hyperpigmentation চিকিৎসার জন্য dermatologist এর সাথে যোগাযোগ করুন।