হিট স্ট্রোক একটি ভয়াবহ হিট ইনজুরিতে গঠন হতে পারে। হিট স্ট্রোক যদিও গ্রীষ্মকালে অনেক কমন তারপরেও যখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৪০ ফারেনহাইট বেড়ে যায় তখনও আমরা হিট স্ট্রোকের শিকার হই।
তাৎক্ষনিকভাবে সঠিক চিকিৎসা না করা হলে হিট স্ট্রোক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কারণ হিট স্ট্রোকের ফলে আমাদের শরীরের একাধিক অঙ্গ যেমন - ব্রেইন, ফুসফুস (লাঙ্গস), লিভার মাসল, কিডনি ইত্যাদি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই হিট স্ট্রোক হলে বা কোন কাছাকাছি জিনিস লক্ষ্য করলে দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন।
হিট স্ট্রোক ২ ধরণের হয়ে থাকে, যেমন - External এবং Non external
Exertional
সাধারণত তারাই এই স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়ে থাকেন যাদের শরীর উচ্চ তাপমাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনা। এক্সারসাইজ বা দীর্ঘদিন গরম আবহাওয়ায় কাজ করলে এই সমস্যা হতে পারে।
Non- exertional
আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে, গরম আবহাওয়ায় অনেক্ষন কাজ করা বা গরম রুমে বসে দীর্ঘ সময় কাজ করা, প্রচুর ঘেমে যাওয়া বা ডিহাইড্রেশন আমাদের শরীরে না নিতে পারলে হিট স্ট্রোকের সম্মুখীন হতে হয়।
হিট স্ট্রোক কাদের মাঝে দেখা দেয়ঃ
যেসব নির্দিষ্ট কারণে হিট স্ট্রোক দেখা দিতে পারেঃ
১। বয়সঃ ৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বয়সের মানুষের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। কারণ যেসব বাচ্চা ৪ বছরের নিচে তখন তাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম মাত্র ডেভেলপ করে তাই যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায় যা তাদের শরীর সইতে পারেনা এবং যাদের বয়স ৬৫ বা এর উপরে তখন ধিরে ধিরে তাদের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পরতে থাকে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
২। হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
যদি আপনার শরীর গরমে অভ্যস্ত না হয়ে থাকে তাহলে আপনার হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেশি থাকে কারণ অতিরিক্ত তাপমাত্রার সাথে শরীর মানিয়ে নিতে পারেনা।
৩। মেডিকেশন
অনেক ঔষধ আছে যা খেলে আপনার শরীর অনেক বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, যেমন - হাই ব্লাড প্রেসারের ঔষধ, অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট ইত্যাদি।
৪। স্বাস্থ্যের সমস্যা
যাদের ওজন বেশি, হার্টের রোগ ও অন্যান্য সব অসুখে যারা ভুগছেন তারাও হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারেন।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করনীয়
১। আরামদায়ক কাপড় পড়তে পারেন, বিশেষ করে ১০০% কটন
২। বেশি বেশি পানি ও ফ্রেশ ফল খাওয়া
৩। বিশেষ করে গরম কালে এক্সারসাইজ করার সময় সতর্ক থাকা। বেশি এক্সারসাইজ করলে বেশি পানি পান করতে হবে