Pregnancy and Miscarriage

Miscarriage কি?

 Miscarriage অনেক কমন এবং জটিল একটি সমস্যা যা গর্ভকালীন সময়ে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই Miscarriage দেখা যায় এবং শুধু তাই নয় মাঝে মাঝে অনেকে জানেও না যে সে গর্ভবতী কারণ জানার আগেই Miscarriage হয়ে যেতে পারে। কিন্তু Miscarriage কেন হয়? Miscarriage যদিও অনেক কমন একটি জটিলতা কিন্তু মাঝে মাঝে এটা খুব হতাশার করন হয়ে উঠতে পারে। আজকে আমরা জানবো কেন গর্ভকালীন সময়ে Miscarriage হয় এবং কিভাবে আপনি কিছু পূর্বব্যবস্থা নিয়ে সেগুলো দূর করতে পারবেন।

Miscarriage কেন হয়?

Miscarriage গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসের মধ্যে হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে আপনার শরীর আপনার ভেতরের বড় হতে থাকা Fetus কে হরমোন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে, যেটা fetus কে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। কিন্তু মাঝে মাঝে প্রথম ৩ মাসে fetus স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারেনা, যার কারণে Miscarriage হয়ে যায়।

Miscarriage অনেক কারণেই হতে পারে, কিন্তু তার মধ্যে কিছু কমন কারণ হচ্ছে-

১। ইনফেকশন

২। মেডিক্যাল কন্ডিশন

৩। হরমোনগত সমস্যা (PCOs)

৪। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

৫। মায়ের যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে

৬। উচ্চ রক্ত চাপ

৭। মাত্রাতিরিক্ত ওজন

৮। Cervical Insufficiency

এর পাশাপাশি আরও কিছু কারণ যেমন ৩৫ এর পরে কন্সিভ করা অথবা যদি এর আগে ৩ বার বা আরও বেশি Miscarriage হয়ে থাকে।

Miscarriage নাকি Period?

মাঝে মধ্যে অনেকেই দ্বিধায় থাকতে পারেন যে তার Miscarriage হয়েছে নাকি Period হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আপনি গর্ভবতী কিনা তা জানার আগেই Miscarriage হয়ে যেতে পারে।

Menstrual period এর মতন Miscarriage হলে হাল্কা রক্তপাত এবং Cramping হতে পারে। Period নাকি Miscarriage এটি বোঝার জন্য ৩ টি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, যেমন-

১। কিছু লক্ষন যেমন-তলপেটে প্রচুর ব্যাথা, ফ্লুইডস এবং বড় clots যদি বের হয় তাহলে সেটা Miscarriage হতে পারে।

২। Miscarriage এর সময় অনেক বেশি এবং ব্যাথাযুক্ত রক্তপাত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি এই লক্ষন গুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করবেন।

 

Miscarriage কয় ধরণের হয়?

Miscarriage অনেক ধরণের হতে পারে, যেমন-

১। Complete Miscarriage: Embryo Uterus থেকে বের হয়ে যায়। এতে রক্তপাত এবং ব্যাথা দ্রুত চলে যায়।

২। Incomplete Miscarriage: Miscarriage এর আপনার শরীর থেকে কিছু Placenta টিস্যু বের হয়ে যায়, কিন্তু কিছু টিস্যু তারপরেও আপনার শরীরে থেকে যায়।

৩। Missed miscarriageঃ Embryo ভেতরে নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু তার কোন লক্ষন নেই যেমন প্রচুর রক্তপাত বা ব্যাথা।

৪। Threatened miscarriageঃ গর্ভকালীন সময়ে হঠাৎ করে হাল্কা রক্তপাত হওয়া এবং পিঠে ব্যাথা হওয়া।

 

৫। Septic miscarriageঃ এই ক্ষেত্রে Uterus এর ভেতর হঠাৎ করে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।

৬। Recurrent miscarriageঃ Recurrent Miscarriage হচ্ছে পর পর ২-৩ বার miscarriage হওয়া

 

Miscarriage এর পর কি গর্ভবতী হওয়া যায়?

এই প্রশ্নটি খুব ই  কমন যে Miscarriage এর পর গর্ভবতী হওয়া যায় কিনা। একটি Miscarriage হওয়ার পর আপনার নিজেকে যথেষ্ট সময় দেয়া উচিত। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি কন্সিভ করার জন্য কতটুকু শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত। Miscarriage হওয়ার মানে এটা না যে fertility সমস্যা আছে এবং অনেক সময় পর পর ২-৩ বার পর পর Miscarriage হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই Miscarriage হওয়ার পর আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।