খাবার বানানো থেকে শুরু করে রূপচর্চা, রূপচর্চা থেকে ওজন কমানো, এমনকি ঘর পরিষ্কার করার কাজেও ব্যবহার করা যায় অ্যাপল সিডার ভিনেগার। তাছাড়াও এটি স্কিন এর সৌন্দয্য বাড়াতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর কিছু অজানা উপকারিতা।
ব্লাড সুগার কমাতে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। অ্যাপল সিডার ভিনেগার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস ও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যাপল সিডার ভিনেগার খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে: ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় অ্যাপল সিডার ভিনেগার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কিছু সংক্ষিপ্ত গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যাপল সিডার ভিনেগার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা এসিটিক এসিড খাওয়ার ইচ্ছাকে দমন করে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়।
ত্বক পরিচর্যায়: অ্যাপল সিডার ভিনেগার এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে যা ত্বক মসৃণ করতে সাহায্য করে এবং ব্রণসহ চামড়ার যে কোনো সমস্যা দূর করে। এর এসিড মুখের পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে এবং অন্যান্য দাগ দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতে এটি অত্যন্ত কার্যকরি।
খুশকি কমাতে: মাথার খুশকি থেকে রেহাই পেতে অ্যাপল সিডার ভিনেগারের তুলনা নেই। ডাক্তারদের মতে, ভিনেগারের এসিড মাথার ত্বকে মালাসেজিয়া নামক ছত্রাক যা খুশকি বিস্তারে সহায়তা করে তা প্রতিরোধ করে। এক টেবিল চামচের চারভাগের এক ভাগের সাথে এক কাপের চার ভাগের একভাগ পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুইবার এরকম করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
চুলের যত্নে: অ্যাপল সিডার ভিনেগার চুলের যত্মেও ব্যবহার করা যায়। এটি চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে। এটি দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল লম্বা হয় ও উজ্জল দেখায়।
সাদা ধবধবে দাঁতের জন্য: দাঁত পরিষ্কার করতেও অ্যাপল সিডার ভিনেগার জুড়ি নেই। এটি দাঁত এ জমে থাকা দাগ ও হলদে ভাব দূর করে সাথে মুখে জমে থাকা অনুজীব দূর করে থাকে। প্রতিদিন সকালে অ্যাপল সিডার ভিনেগার দিয়ে কুলকুচা করলে দাঁত হয়ে উঠে ঝলমলে সাদা। পাশাপাশি মুখের জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
ত্বকের কালো দাগ দূর করতেঃ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার খুব ই উপকারি। এর জন্য একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলা তে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ত্বকের কালো অংশে মাখুন এবং কিছুক্ষন পর ধুয়ে ফেলুন।
দাড়ির যত্নেঃ অনেকেই দাড়ির যত্নে বিয়ার্ড অয়েল ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু অনেক সময় ব্যস্ততার জন্য হয়ত সবসময় বিয়ার্ড অয়েল ব্যবহার করা হয়ে উঠেনা বা হাতের কাছে থাকেনা। আর এই সমস্যার চমৎকার সমাধান হচ্ছে অ্যাপল সিডার ভিনেগার।
অ্যাপল সিডার ভিনেগারের সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে low PH. Low PH আমাদের দাড়ির নিচের যে সেনসিটিভ স্কিন আছে তার PH লেভেল ন্যাচারালি ব্যালেন্স করে যা স্কিন কে সুস্থ রাখার পাশাপাশি দাড়ি ভালভাবে উঠতেও সাহায্য করে।
সাধারণত অ্যাপল সিডার ভিনেগার সরাসরি খাওয়া ঠিক না। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।