এন্টি এইজিং স্কিন কেয়ার টিপস

 

 

এন্টি এইজিং বা পরিনত বয়সের দিকে এগিয়ে চলা একটি স্বাভাবিক পদ্ধতি।বয়সের সাথে সাথে আমাদের জীবনে দায়িত্ব বেড়ে যায়। শরীর মনের পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের ত্বকেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ কিংবা আমাদের লাইফস্টাইলের কারণে ত্বকে দেখা যায় বয়সের ছাপ। কিন্তু ত্বকের যত্নের অভাবে অনেক সময় অল্প বয়সেই ত্বকে বলিরেখা কিংবা বয়সের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। তাই বয়স ২৩ থেকে ২৫ এর মধ্যেই চেষ্টা করা উচিত প্রপার স্কিন কেয়ার শুরু করে দেয়া। এতে করে বয়সের ছাপ আসার আগেই নিয়মিত স্কিন কেয়ারের কারণে বলিরেখা থেকে বেঁচে যাওয়া সম্ভব। তাই কিছু টিপস মেনে চললে এন্টি এজিং রোধ করা সম্ভব।

সানস্ক্রিন - এন্টি এইজিং থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায় হলো সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা। এর জন্যে বাইরে গেলে ত্বকে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হতে হবে। ত্বকের ধরণ বুঝে সব ঋতুতেই সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।  

পর্যাপ্ত ঘুম - ত্বকের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ত্বকেরও দরকার পর্যাপ্ত বিশ্রামের আর তাই ত্বকের বিশ্রামের জন্য প্রতিদিন ৮ -৯ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে অসময়েই দেখা দিতে পারে বলিরেখা আর ত্বক লাগে বেশ ক্লান্ত। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করতে হবে এবং স্ট্রেসমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

সঠিক পদ্ধতিতে ঘুমানো - অনেকেই ঘুমের মধ্যে উল্টো হয়ে বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমান। যার কারণে আপনার ত্বকে পড়তে পারে ভাঁজ কিংবা বলিরেখা যাকে স্লীপলাইন ও বলা হয়ে থাকে। তাই স্লীপলাইন থেকে রক্ষা পেতে বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। 

ত্বক পরিষ্কার রাখা - সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা অত্যাবশ্যক। আমাদের একেকজনের ত্বক একেকরকম হয়ে থাকে। তাই আপনার ত্বকের জন্য সঠিক প্রোডাক্টটি বাছাই করে ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করুন। আর ভালো ফলাফলের জন্যে সাবান এর পরিবর্তে ফেস ওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো।

স্কিনকেয়ার রুটিন - ত্বকের যত্নের জন্য এবং এন্টি এইজিং থেকে রক্ষা পেতে সকলের উচিত একটি প্রপার স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা। এতে করে ত্বকের নানান সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন। তাই নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার, টোনার ,সিরাম এবং নাইটক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এই স্টেপগুলো যদি প্রতিদিন মেনে চলা যায় তাহলে সহজেই এন্টি এইজিং রোধ করা সম্ভব।

সবশেষে সুস্থ ত্বক পেতে হলে সকলেরই সুষম খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। এতে করে ত্বক এবং শরীর দুটোই সুস্থ এবং ফ্রেশ থাকবে।