কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, মিনারেল ইত্যাদি যা স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জানি আমাদের মেধা এবং হজমের ক্ষেত্রে কাঠবাদাম কতটা উপকারি!! কিন্তু আপনি কি জানেন এর পাশাপাশি আপনার চুল, স্কিন ও নানা ধরণের সাস্থ্যের উপকারিতা কাজে লেগে থাকে এই কাঠবাদাম। শুধু তাই নয়, অনেক রোগের মহৌষধ এই কাঠ বাদাম।
কাঠবাদামে সাস্থ্যের জন্য যা যা উপকারিতা রয়েছে -
১। ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
বাদামে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় তা আপনার সেলকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। তার সাথে নানা ধরণের রোগের বিরুদ্ধেও কাজ করে।
২। ভিটামিন ই
কাঠবাদাম ভিটামিন ই এর একটি উৎকৃষ্ট উৎস। ভিটামিন ই আমাদের হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং আলঝেইমারের মত ভয়াবহ রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৩। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
বাদামে শর্করার মাত্রা কম তবে সাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফলে যারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগী তাদের জন্য এটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং তাছাড়া এতে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম যার সাহায্যে মেটাবলিক সিনড্রোমও ভালো রাখে।
৪। ভিটামিন বি
কাঠবাদামে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি। তাই গর্ভবতী মায়েরা যদি গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন তবে শিশুর জন্মের সময় মায়েরা সাধারণত যে ধরণের জটিলতার সম্মুখীন হন তা এড়াতে সাহায্য করে।
৫। যারা ডায়েট মেনে চলছেন তাদের জন্য বাদাম একটি আদর্শ খাবার, কারণ বাদাম আপনার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
৬। ওজন কমাতে
অনেকের মাঝে ভুল ধারণা আছে যে বাদাম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং বাদাম আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ অল্প খাবারের মধ্যে বাদাম আপনার পেট ভরা রাখে। তাই বলে এই নয় যে আপনি অনবরত বাদাম খেতে থাকবেন, কারণ অতিমাত্রায় কোন কিছু ভালোনা।
৭। স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে
আপনার স্কিন যদি ড্রাই বা ফ্লেকি হয়ে থাকে তাহলে লোশন বা আলমনড আপনার জন্য ভাল সমাধান হতে পারে। আলমনড আমাদের ত্বককে নমনীয় রাখতে প্রয়োজনীয় ফ্যাট সরবরাহ করে। তাছাড়া আলমনডে আছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই যা ত্বককে করে তুলে উজ্জ্বল। একটি ছোট গ্লাস বোতলে আলমনড অয়েল এবং আপনার পছন্দমত যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল ৫ ফোঁটা মিশিয়ে নিজেই তৈরি করুন আলমনড ফেশিয়াল অয়েল।