গর্ভাবস্থায় চিকেনপক্সের জটিলতা ও ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

গর্ভাবস্থায় অনেকেরই চিকেনপক্সের অভিজ্ঞতা হতে পারে, যদিও হাতে গোনা কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এমনটা। আগে যদি আপনার কখনও চিকেনপক্স হয়ে থাকে তাহলে আবার হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে কেননা আপনার শরীরে এই রোগ প্রতিরোধের এন্টিবডি আগে থেকেই আছে। আবার যদি আগে থেকেই চিকেনপক্সের টিকা দেয়া থাকে তাহলেও এই রোগ পরবর্তীতে আবার হতে দেখা যায় না কারণ আপনার শরীর এই রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক চিকেনপক্সের  কারণে গর্ভাবস্থায় কি কি ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। 

কি কি ধরনের জটিলতা দেখা যেতে পারে

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে (১-৩ মাস) সময়ের মধ্যে চিকেনপক্স দেখা দিলে শিশু জন্মগত ভেরেসেলা সিনড্রোম (সিভিএস) এ আক্রান্ত হতে পারে। শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময় হল ১৩-২০ সপ্তাহ, এতে গর্ভপাত এবং স্থির জন্মের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাছাড়া জরায়ুতে শিশুর দুর্বল ভাবে বেড়ে ওঠা, পায়ে ত্রুটি জনিত সমস্যা, ছোট আকারের অস্বাভাবিক মাথা, দৃষ্টি সমস্যা, খিঁচুনি এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অক্ষমতাও অর্জন করতে পারে। ৩ মাসের পর ঝুঁকি কম কেননা তখন আপনার শরীরে এই রোগ প্রতিরোধের এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায় যা শিশুকেও রক্ষা করে। প্রসবের আগের ৫ দিন এবং পরের ২ দিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর কেননা এই সময় শিশু মায়ের শরীর থেকে এন্টিবডি গ্রহণ করার সময়টা পায় না।

ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

চিকেনপক্স একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই চিকেনপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। গর্ভাবস্থায় চিকেনপক্স এড়ানোর জন্য গর্ভধারণের পূর্বে একবার রক্ত ​​পরীক্ষা করাতে পারেন যেটাতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি চিকেনপক্সে আক্রান্ত কিনা। তবে গর্ভধারণের পূর্বেই এ ধরনের ভ্যাকসিন দিতে হবে কেননা গর্ভাবস্থায় এ ধরনের ভ্যাকসিন গর্ভের  শিশুর জন্য ক্ষতিকর। 

 

চিকেনপক্সের ঝুঁকি এড়াতে তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।