গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার থেকে দূরে থাকবেন

মহিলাদের গর্ভকালীন সময় অন্যান্য সময় থেকে অনেকটা ভিন্ন। এ সময় অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। চলা-ফেরা থেকে শুরু করে খাওয়া, ঘুম সব কিছুই নিয়ম মতো করতে হয়। এ সময় কিছু খাবার শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তাই খাবারের তালিকা থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দিন সেসব খাদ্যদ্রব্যগুলোকে।

 

১. চিজ থেকে দূরে থাকুন: চীজ অনেকেই খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু আনপ্রসেসড চীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ এতে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাক্টেরিয়া থাকে। একই ভাবে নরম চীজ এ পানি বেশি থাকে যাতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়।

২. কাঁচা ডিম: কাঁচা ডিম বা হাফ সিদ্ধ ডিম, প্রসেসড মিট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সি ফিশ বা সমুদ্রের মাছ খাওয়া ভালো, এতে ওমেগা -৩ থাকে। তবে সেই মাছও খান পরিমিত পরিমাণে।

৩. বাসি সালাদ অনেক্ষন ধরে কেটে রাখা ফল খাবেন না: সবুজ সালাদ স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। অবশ্যই সালাদ খান কিন্তু কখনোই অনেকক্ষন আগের কেটে রাখা সালাদ বা ফ্রুটস খাবেন না।

৪. ধুমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন: কোনো রকম নেশাকে না বলুন। ধূমপান বা অ্যালকোহল কোনোটাই এই সময় নেওয়া উচিত না। অতিরিক্ত ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ এই সময় বাচ্চার ক্ষতি করে।

৫. বেশি চা, কফি খাবেন না: অনেকের মধ্যেই চা বা কফি খাওয়ার প্রবণতা আছে। স্ট্রেস কমাতে অনেকে এক কাপ চা বা কফি বেছে নেন। চেষ্টা করুন এই প্রবণতা কমানোর। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বা কম ওজনের শিশু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। দুধ চা ও কফির পরিবর্তে রং চা বা গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৬. পেঁপে ও আনারস থেকে দূরে থাকুন: ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। এই সময় ফল বা ফলের রস শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু ফলের ক্ষেত্রেও একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আনারস বা পেঁপে এমনি সময় স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও গর্ভাবস্থায় একদমই না খাওয়া উচিত। আনারস বা পেঁপে তে যে ফাইবার থেকে তা দেহের তাপ বাড়িয়ে তোলে।

৭. ঠান্ডা পানীয়কে না বলুন: অনেকেই আছেন যারা ঠান্ডা পানীয় খেতে ভালোবাসেন। খাওয়ার পর বা যে কোনো সময় একটু গলা ভিজিয়ে আরাম পান। অনেকে কাজের চাপে খেতে চান এনার্জি ড্রিংক। চেষ্টা করুন এগুলো এই সময়ে এড়িয়ে চলার। কারণ এতে থাকে সংরক্ষক বা preservatives, যা শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক।

৮. অ্যালার্জি হয় এমন খাবার খাবেন না: বাইরে বা অন্য কোথাও গেলে খাবার খাওয়ার আগে জেনে নিন খাবারে এমন কিছু দেওয়া আছে কিনা যা থেকে আপনার অ্যালার্জি হয়।

 

সর্বোপরি, সুস্থ থাকতে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

সূত্রঃ ইন্টারনেট