নবজাতক শিশুরা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সংক্রমণ প্রবণ হয়। একটি নবজাতক শিশু পরিবারে অনেক আনন্দ
নিয়ে আসে। কিন্তু নবজাতক শিশুরা যেহেতু অনেক স্পর্শকাতর হয় তাই তাদের যত্নের ক্ষেত্রে হতে হবে বেশ
সতর্ক। যেহেতু, শিশুরা সংবেদনশীল তাই একটু অসাবধানতার কারণে শিশুরা সহজেই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস
জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কারণ নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকে।
তাই শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য নিরাপদ পরিবেশ দিতে মা-বাবাকে অবশ্যই তার সঠিক যত্ন নিতে হবে। তাই আজকে
আমরা জেনে নিবো কিছু টিপস যা আপনার শিশুর সঠিক যত্ন নিতে সাহায্য করবে।
শিশুকে উষ্ণ রাখুন- জন্মের পর শিশুদের বাইরের জগতের সাথে সামঞ্জস্যতার জন্য উষ্ণ তাপমাত্রার
প্রয়োজন। এতে শিশুরা তাদের মায়ের স্পর্শের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারে। তাই তাই মাকে শিশুর সাথে বেশি
সময় কাটাতে হবে কারণ মায়ের স্পর্শ শিশুকে উষ্ণতা দেওয়ার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।
শিশুকে স্পর্শ করা সীমাবদ্ধ করুন- নবজাতক শিশুরা যেহেতু খুব সংবেদনশীল এবং সংক্রমণ প্রবণ হয় তাই
তাদেরকে স্পর্শের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কারণ এসময় শিশুদের রোগ সংক্রামিত হওয়ার উচ্চ আশংকা
থাকে। অপরিচিতদের থেকে শিশুকে চুমু খাওয়া বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
সবসময় হাত ধুয়ে নিন- শিশুকে কোলে নেয়ার আগে অবশ্যই ভালোকরে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
কারণ আমাদের হাতে অনেক রকমের জীবাণু থাকে যা শিশুর জন্য অনেক ক্ষতিকারক। সুতরাং, শিশুকে স্পর্শ
করার আগে বা খাওয়ানোর আগে হাত সঠিকভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
কমপক্ষে ৬ মাস বুকের দুধ খাওয়ান- মায়ের বুকের দুধই শিশুর পুষ্টির একমাত্র উৎস। শিশুদের শরীরে পুষ্টির
যোগান দিতে মায়ের বুকের দুধের কোনো বিকল্প নেই। তাই শিশুর পুষ্টির সঠিক পরিমাণ নিশ্চিত করার জন্য
একজন মাকে অবশ্যই কমপক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এবং শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
শিশুর কাপড় আলাদাভাবে ধুয়ে নিন- শিশুদের কাপড় সব সময় আলাদা করে ধুতে হবে। অনেকে বাড়ির সবার কাপড়ের
সাথে শিশুদের কাপড় ধুয়ে থাকেন যা ঠিক নয়। শিশুদের কাপড় আলাদা করে ধোয়া উচিত কারণ সব ডিটারজেন্ট
শিশুর পোশাকের জন্য ভালো নাও হতে পারে। শিশুর কাপড় নিরাপদ ও সংক্রমণমুক্ত রাখতে হলে শিশুর কাপড়
আলাদাভাবে ধুতে হবে।
সুস্থ এবং সঠিকভাবে শিশুকে লালনপালনের জন্য উপরোক্ত টিপসগুলো অবশ্যই ফলো করবেন। এটি আপনার
শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরী করতে সাহায্য করবে।