পিঠের ব্রণ থেকে মুক্তির ঘরোয়া এবং সহজ উপায়

যেকোনো বয়সেই আমাদের ব্রণ হতে পারে। তবে ফেইসে ব্রণ হলে কিংবা ব্রণের দাগ দেখা দিলে একটু কনসিলার দিয়ে তা ঢেকে দিতে পারি কিন্তু পিঠে ব্রণ হলে সেটা সারানো এবং দাগ ঢাকা ততটা সহজ নয়। তাই এই নিয়ে অনেকেই বিব্রত বোধ করে থাকেন। 

আমাদের ত্বকের ছিদ্রগুলিতে থাকা তেল এবং ত্বকের মৃত কোষ আটকে গেলে দেখা দেয় ব্রণ। কারণ ত্বকের প্রতিটি ছিদ্র একটি সেবেসিয়াস গ্রন্থির সাথে সংযুক্ত, যা থেকে সিবাম নামক একটি তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি করে। আপনার ত্বক এবং চুলকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদানের জন্য সেবাম চুলের ফলিকলগুলিতে উঠে যায়। এটি ত্বকের ছিদ্র এবং ব্যাকটেরিয়াকে ব্লক করে। যখন চুলের ফলিকল প্রাচীর ফুলে যায়, তখন হোয়াইটহেড পিম্পল তৈরি করে। যখন আটকে থাকা ছিদ্র বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন ব্ল্যাকহেড ব্রণ তৈরি হয়। এর নানা কারণও রয়েছে। শরীরে হরমোনের পরিবর্তন, জেনেটিক্স, স্ট্রেস এবং ঘাম আপনার ব্রণ হওয়ার কারণ হতে পারে।

তাই আজকে জানবো পিঠের ব্রণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় :

১. টি ট্রি অয়েল : ব্রণ কমাতে টি ট্রি অয়েল জাদুকরী কাজ করে তা আমরা সবাই জানি। তাই এই টি ট্রি অয়েল। টি ট্রি অয়েল ব্রণের অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে, ফলে ব্রণ কমায়। বর্তমানে টি ট্রি অয়েল দিয়ে তৈরী অসংখ্য বডি লোশন, ক্রিম এবং ক্লিনজার রয়েছে যা ব্যবহার করলে নিমিষেই আপনার পিঠের ব্রণ দূর হবে। এছাড়া ২ থেকে ৩ ফোটা টি ট্রি অয়েল পানির সাথে মিলিয়ে গোসল করলেও বেশ উপকার পাওয়া যাবে। 

২. এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউটের পর গোসল করুন: এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউটের পরে ত্বকে প্রচুর ঘাম এবং ময়লা জমে যায়। যা আপনার পিঠের ত্বকে ব্রণের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউটের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করতে হবে। ঘামে ভেজা কাপড়টিও ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে আপনি ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত থাকবেন। 

৩. এক্সফোলিয়েট: আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত ময়লা এবং তেল অপসারণ করতে ত্বকে এক্সফোলিয়েট করা খুব জরুরি। তাই স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত উপাদান দিয়ে তৈরী এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এছাড়া বাড়িতে স্ক্র্যাব বানাতে পারেন সামান্য ব্রাউন সুগার এবং মধু কিংবা কাঁচা দুধ দিয়ে। এটি ত্বকের মৃত কোষের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং পোরস ওপেন করে। যা থেকে পিঠে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে। 

৪. ঢিলেঢালা পোশাক পরুন: ফিটিং, আঁটসাঁট পোশাক আমাদের শরীরের ময়লা এবং ঘাম আটকে দেয়। যা জমে পোরস লক করে দেয়  এবং ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। তাই বাইরে গেলে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন যাতে আপনার বডিতে বাতাস ঢুকতে পারে এবং ঘাম দূর করতে সাহায্য করে। 

৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে: আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই জরুরি। তাই আপনার খাধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার যেমন আঙ্গুর জাতীয় ফল, নির্দিষ্ট ধরণের বাদাম, গোটা শস্য এবং বিনস যা পিঠের ব্রণের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই খাবারে রুটিনে সবজি, ফল, চর্বিহীন প্রোটিন,আস্ত শস্যদানা জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। 


৬. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মানসিক চাপ থেকেও ব্রণ হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে আমাদের ঘুমের ঘাটতি হতে পারে। আর থেকে হতে পারে ব্রণ। তাই ব্রণকে দূরে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং বেশি স্ট্রেস নেয়া থেকে বিরত থাকুন।