চুলের যত্ন থেকে ত্বকের যত্ন সব জায়গাতেই নারিকেল তেল অসাধারণ কাজ করে। শুধু তাই নয়, মেকআপ রিমুভ করতে ক্লিঞ্জিং অয়েল এমনকি ফেসিয়াল অয়েল হিসেবেও ব্যবহৃত হয় নারিকেল তেল। অনেকে আছেন যারা খাঁটি পণ্য ব্যবহার করতে পছন্দ করে বা নিজে বাসায় তৈরি করে নিতে পছন্দ করেন।
এই তেলকে অলরাউন্ডার বললেও ভুল হবেনা।
প্রথমে পরিপক্ব নারিকেল নিন কারণ কচি নারিকেল থেকে তেল বের করা যাবেনা। এখন ৪-৫ টি বড় নারিকেল একটি কুড়ানির সাহায্যে কুড়িয়ে নিন।
তারপর মেজারমেন্ট কাপ দিয়ে মেপে ৩ কাপ নারিকেল নিয়ে ব্লেন্ডারে দিন এবং মেজারমেন্ট কাপের মাপ অনুযায়ী দেড় কাপ পরিমাণ হাল্কা কুসুম গরম পানি এতে মিশিয়ে নিন। এবার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করার পর আপনি মিশ্রণটি পেস্ট আকারে পাবেন। আর পেস্ট টি অবশ্যই মিহি হতে হবে। এই মিশ্রণটি যত ভালোভাবে ব্লেন্ড হবে তত ভালো তেল আপনি পাবেন। আপনি যদি মনে করেন আপনি ব্লেন্ডারে মিহি নারিকেল পাবেন না তাহলে আপনি চাইলে পাটায় ও পিষে নিতে পারেন। পেস্টটি তৈরি হয়ে গেলে বড় একটি পাত্রে সেটি ঢেলে নিতে হবে।
আলাদা একটি বাটি ও ছাঁকনি নিন এবং ছাঁকনির উপর একটি সুতি কাপড় পেঁচিয়ে নিন। এবার ছাঁকনিটি বাটির উপর রেখে আস্তে আস্তে একটি চামচ দিয়ে মিশ্রণ টি ছাঁকনির উপর ঢালুন। ঢালা শেষ হয়ে গেলে ভালো করে কাপড়টি চিপে বাকি নারিকেলের দুধ টুকুও বের করে নিন এবং সবশেষে নারিকেলের বেঁচে যাওয়া অংশ ফেলে দিন এবং বাটিতে যে নারিকেলের দুধ নিয়েছেন তা প্লাস্টিকের একটি র্যাপারের সাহায্যে পেঁচিয়ে ৭-৮ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
এখন নারিকেলের দুধ কড়াই তে নিন এবং চুলায় মাঝারি তাপে অনবরত নাড়তে থাকুন। দুধে বলক আসলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। আপনি যত নাড়তে থাকবেন মিশ্রণ টি তত ঘন হবে। আস্তে আস্তে তেলে ফেনা বের হবে ও সব তেল বের হয়ে আসবে এবং বাদামি রঙের অবশিষ্ট অংশ নিচে পরে থাকবে। এবার চুলা বন্ধ করে বাদামি অংশ ফেলে দিন এবং ছাঁকনি দিয়ে তেল ছেঁকে একটি পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
এই সহজ ৫ টি ধাপেই আপনি বাসায় বসেই তৈরি করে নিলেন ১০০% খাঁটি নারিকেল তেল। এই তেল টি তৈরি করতে সময় বেশি লাগলেও তেলটি সম্পূর্ণ খাঁটি যা আপনি বাজারে কিনতে পাবেন না। এছাড়া এই তেলটি সংরক্ষণ করে আপনি অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন।