বিভিন্ন ধরনের স্কিন টাইপের জন্য ঠিক কিভাবে এক্সফোলিয়েট করতে হয় তার সঠিক পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। এক এক জনের স্কিনের এক এক ধরণের সমস্যা হতে পারে তাই স্কিনের ধরণ অনুযায়ী এক্সফোলিয়েট করা উচিত। আমাদের স্কিনের জন্য একদম সঠিক এক্সফোলিয়েটর নির্বাচন করা অনেক বেশি কঠিন কারণ আমাদের স্কিন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়ে থাকে। এছাড়া আমাদের ত্বক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
এক্সফোলিয়েটিং ফ্যাক্ট
১। প্রাকৃতিকভাবে আমাদের স্কিন থেকে প্রতিনিয়ত কিছু ডেড স্কিন সেল এমনি সহজেই পরে যায়। কিন্তু যখন এই ডেড স্কিন সেলগুলো নিজে থেকে ঝরে না যায় তখনই দেখা দেয় বিপত্তি। আর স্কিনে দেখা যায় বিভিন্ন সমস্যা যেমন – পোরস ক্লগ হয়ে যাওয়া, অ্যাকনে হওয়া ইত্যাদি। আর এই ডেড স্কিন সেল দূর করার সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে এক্সফোলিয়েশন।
আমরা যখন ডেড স্কিন দূর করতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই ওভার এক্সফোলিয়েট করে ফেলি তখনই আমাদের স্কিনে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের ধারণা যত বেশি এক্সফোলিয়েট করবে তত বেশি ডেড সেল দূর হবে যা একটি ভুল ধারণা। অতিমাত্রায় এক্সফোলিয়েট করার কারণে আমাদের ত্বকে নতুন সেল তৈরি হতে সময় লাগে এবং এর ফলে স্কিন ব্যারিয়ার দুর্বল হয়ে যায়। ফলে স্কিন আরও বেশি ড্যামেজ হয়ে যায় এবং স্কিনে রিঙ্কেল বা দাগ দেখা দেয়।
কিছু সহজ এবং নিরাপদ এক্সফোলিয়েটিং পদ্ধতি অনুযায়ী আপনি আপনার ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারেনঃ
১। যখন আপনার ত্বক অনেক ডাল বা ড্রাই থাকবে
২। যদি আপনার ফেইস থেকে ডেড স্কিন সেল একদমই দূর না হয়
৩। যদি আপনার ত্বকে প্রচুর ডেড স্কিন সেল থাকে তখন স্কিনে মেকআপ সহজে বসতে চায় না। এই অবস্থায় আপনি যা করবেন-
৪। সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যারা ব্রেকআউটের সম্মুখীন হয়েছেন তাদের জন্য এই পদ্ধতি সবচাইতে ভালো
যদি আপনি AHA যুক্ত কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তবে mendalic type AHA ব্যবহার করুন। যেহেতু mendalic এর মলিকিউল আকারে বড় হয় তাই এটি অনেক মাইলড হয়।
যদি আপনার পিম্পল থাকে তাহলে আপনি চাইলে নিজেও একটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কটন প্যাড স্কয়ার শেপে কেটে নিন এবং তারপর তাতে AHA প্রোডাক্ট ঢেলে সংক্রমিত জায়গাতে ব্যবহার করুন।
এক্সফোলিয়েট করার জন্য শুধু যে এই ধাপগুলো মেনে চললেই হবে তা নয়। এক্সফোলিয়েটিং এর পর আপনার স্কিনকে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা মেনে চলুন। এবং অবশ্যই স্কিনকে হাইড্রেট রাখতে হবে।