মেনোপজ হল এমন একটি অবস্থা যা মহিলাদের মাসিকের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। সাধারণত বার্ধক্যজনিত কারণে মহিলাদের মধ্যে হরমোনের অভাবের কারণে মেনোপজ হয়। তাই মহিলার ডিম্বাশয় ডিম ছাড়ে না এবং মহিলা গর্ভবতী হতে পারে না। এই সময় মহিলাদের ত্বকের ও নানান পরিবর্তন দেখা দেয়। শরীরে কোলাজেন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ত্বক হতে পারে অনেক বেশি ড্রাই এবং দেখা দিতে পারে বলিরেখা।
মেনোপজের সময়, ইস্ট্রোজেনের নিম্ন স্তর আপনার ত্বকে একটি বড় প্রভাব ফেলে। কম ইস্ট্রোজেন ত্বক পাতলা, ঝুলে যাওয়া এবং কুঁচকে যাওয়ার প্রবণ বাড়ায়। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত ত্বকের সমস্যা রোধ করা যায়। তাই এই সময় নিতে হবে ত্বকের এবং শরীরের বাড়তি যত্ন যাতে করে মেনোপজের কারণের আপনার লাবণ্যতা না হারিয়ে যায়।
ত্বক পরিষ্কার রাখা - যেকোনো বয়সেই ত্বক পরিষ্কার রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আর এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে যা শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো।
ত্বক হাইড্রেটেড রাখা - মেনোপজের পরে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় কারণ তেল গ্রন্থিগুলি ততটা সক্রিয় থাকে না। তাই একটি ভারী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যা ত্বককে তিনেক বেশি হাইড্রেটেড রাখবে।
ত্বকে সান প্রটেকশন ব্যবহার করা - ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য খুব জরুরি।সানস্ক্রিন ত্বকের ক্যান্সার, বলিরেখা এবং পিগমেন্টেশন থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে হবে। সুতরাং ৩০ বা তার বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
বেশি করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস খেতে হবে- কোলাজেন আপনার ত্বককে তারুণ্যময় বাড়ায় এবং ত্বককে টানটান করে। আপনার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার ত্বকের কোলাজেনও কমে যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার আপনার ত্বককে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত ঘুম- পর্যাপ্ত ঘুম আপনার ত্বককে সতেজ দেখাতে এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাব আপনার হরমোনের মাত্রা এবং মেটাবলিজমকে একইভাবে পরিবর্তন করতে পারে যার কারণে আপনাকে আরো বয়স্ক দেখায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের জন্য বেশ দরকার।
স্ট্রেসমুক্ত থাকা - স্ট্রেস আপনার ত্বককে শুষ্ক এবং আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন তবে এটি আপনি আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে। তাই নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত রাখতে যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং অন্যান্য স্ট্রেস-কমানোর কৌশলগুলি ব্যবহার করুন।