রোজার সময় পানির চাহিদা পূরণ করবেন কিভাবে

 

চলে এসেছে সবার অপেক্ষমান পবিত্র মাহে রমজান। তবে এইবার রমজান মাসে চলছে প্রচণ্ড গরম। তাই শরীরে দেখা দিচ্ছে অনেক পানির ঘাটটি। লম্বা সময় ধরে রোজা রাখার কারণে এবং পানি ও অন্যান্য তরল থেকে বিরত থাকার কারণে  আমাদের শরীরে যে তরলের চাহিদা হয় তা যথাযথভাবে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইফতারে এবং সেহরিতে এমন খাবার বা পানীয় রাখতে হবে যা আমাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করবে।

পানি- রোজা রেখার কারণে সারাদিন আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয় অনেক। তাই এই গরমে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। পানি আমাদের ত্বকে সজীবতা বজায় রাখে, খাদ্য হজম, শোষণ ও বিপাকে সাহায্য করে। 

শরবত - ইফতারে শরবত সব মানুষেরই একটি পছন্দের পানীয়। এছাড়া শরবত আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। লেবুর শরবত, তোকমার শরবত, ইসুবগুলের শরবত শরীরের জন্য বেশ উপকারী। লেবুর শরবতে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তে ইলেকট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখে। তকমার শরবত ওজন নিয়ন্ত্রণেও অনেক সাহায্য করে। ইসুবগুলের শরবত হার্টের রোগী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী এবং যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত তাঁদের জন্য উত্তম। তাই ইফতারে এবং সেহরিতে শরবত বেশি করে পান করবেন। 

দুধ - দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা আমাদের সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের জন্য বেশ উপকারী। রোজায় আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে দুধের কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত এক গ্লাস দুধ পান করুন। এতে করে শরীরের মাংসপেশিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং পানির চাহিদা পূরণ করবে। 

ফলের রস- বর্তমানে বাজারে প্রচুর মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। সঠিক পুষ্টি পেতে তাজা ফলের তৈরি রস বা শরবত রোজায় পান করা উত্তম। বাড়িতে জুস করে খেলে ফলের পাশাপাশি তরলের চাহিদাও পূরণ করে এবং ইফতারিতে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান পাওয়া যায়। আম, কলা, মাল্টার কিংবা কমলার রস ইত্যাদি পান করুন। ফলের রস আপনার শরীরকে নিমিষেই করে দিবে সতেজ।  

রোজায় তরলের চাহিদা পূরণে পানির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন তরল বেছে নিন। যতটুক সম্ভব রোজায় চা, কফি ও কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।