মেকআপ করে টিপটপ হয়ে বের হতে ভালোবাসে এমন মহিলাই জানেন যে দিনটি শুরুতে মেকআপ দেখতে কেমন লাগে এবং দুপুরের মধ্যেই সেটা কেমন চেহারা নেয়।
কিছু সিম্পল ব্যাপার মাথায় রেখে মেকআপ করলেই এই মেকআপ এর ঝামেলাটি সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায়। ভুল তুলে ব্যবহার করা বা আপনার ত্বক প্রস্তুত করতে ভুলে যাওয়া কিছু ঘন্টা পরেই আপনার মেকআপ কে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই এটা চান না। তাই ১০ টি সহজ টিপস নিয়ে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।
১। প্রথমেই ত্বককে প্রেপ করে নিতে হবে:
আপনার মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আপনি যত পদক্ষেপই গ্রহণ করুন না কেন, আপনারা ত্বক যদি সঠিকভাবে প্রেপ করা না হয় তবে ত্বক মসৃন দেখাবে না বা মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আপনার ত্বকের পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া, তেল এবং মৃত ত্বকের কোষ জমা হয়, যার ফলে মেকআপের মাধ্যমে পোরস বড় হয় এবং ব্রেকআউট হয়। আপনার ত্বককে মসৃন রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুবার এটি এক্সফোলিয়েট করুন যাতে আপনার মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়। ত্বক পরিষ্কার এবং এক্সফোলিয়েট করার পরে, আপনারা ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে একটি টোনার ব্যবহার করুন। এতে ত্বক আরো মসৃন এবং রেডিয়েন্ট ও হবে।
২ । প্রথমেই ত্বককে প্রেপ করে নিতে হবেঃ
আপনার মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আপনি যত পদক্ষেপই গ্রহন করুন না কেন, আপনার ত্বক যদি সঠিকভাবে প্রেপ করা না হয় তবে ত্বক মসৃণ দেখাবেনা, মেক আপ ও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আপনার ত্বকের পৃষ্ঠে ব্যাক্টেরিয়া, তেল এবং মৃত কোষ জমা হয়, যার ফলে মেকআপ দিলে পোরস আর বড় হয় এবং ব্রেক আউট হয় ।
৩ । অয়েল ফ্রি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুনঃ
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা সবচে বেশি অক্সিডাইজেশন এবং মেকআপ গলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগেন । তাই তাদের উচিত সবসময় অয়েল ফ্রি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। আর এমনিতেও অয়েল বেজড ফাউন্ডেশন এর অক্সিডাইজের প্রবণতা বেশি । তাই আপনার যদি ড্রাই স্কিন ও হয় সারাদিন মেকআপ স্টে করাতে চাইলে ওয়াটারবেজ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। আর ত্বককে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজড করে নিতে ভুলবেন না কিন্তু ।
৪ । ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার এবং মাশকারা ব্যবহার করুনঃ
ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার বেছে নিন। আপনার চোখ ভিজে উঠতে শুরু করলে নিচের দিকে সামান্য পাউডার লাগান যাতে স্মাজ না হয়। আর চোখের পানি , ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে আইলাইনার না ব্যবহার করেও লুক ক্রিয়েট করতে পারেন।
৫ । ব্লাশ এবং ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুনঃ
হালকা হাতে পাউডার ব্রোঞ্জার এবং ব্লাশ ব্যবহার করুন। ফেস এ ব্রোঞ্জার, ব্লাশ থাকলে আপনার মেকআপ এর ফেড, অক্সিডাইজ হয়ে যাওয়া অনেকটাই রোধ করা যায়।
৬ । আই প্রাইমার ব্যবহার করুনঃ
সারাদিন আইশ্যাডো জায়গায় রাখার জন্য চোখের প্রাইমার গুলি দারুন কাজ করে। তারা শেড এর রঙ হালকা হয়ে যাওয়া, ক্রিজ করা প্রতিরোধ করে এবং শ্যাডো লং লাস্টিং করে।
৭ । ট্রান্সলুশন পাউডার ব্যবহার করুনঃ
বেজ মেকআপ করার পর অবশ্যই ট্রান্সলুশন পাউডার ব্যবহার করুন। এটি আপনার মেকআপকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সেট করে এবং ত্বক থেকে বের হওয়া অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ফেস কে ম্যাটিফাই করে।
৮ । লং লাস্টিং লিপ্সটিক ব্যবহার করুনঃ
আপনি যে ধরনের লুক চান তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের লং লাস্টিং লিপ্সটিক ব্যবহার করুন। গাড়ো লিপস্টিক এ ক্রিজিং একটু দ্রুত হয়, আর তখন দেখতেও খারাপ লাগে। তাই সারাদিনের জন্য হলে হালকা রঙ এর লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
৯ । হাত দিয়ে মেকআপ ফিক্স করার কিংবা সেট করার ট্রাই করবেন নাঃ
এতে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। মুখে হাত দিলে হাতের ময়লা মুখে চলে যায়। মেকয়াপ ঠিক করতে হাত ব্যবহার করলে সাধারনত মেক আপ আরো খারাপ হয়ে যায়। তাই মেকআপ ব্রাশ কিংবা ব্লেন্ডার দিয়ে প্রেস করে করে মেকআপ ফিক্স করুন। খেয়াল রাখবেন বিউটি ব্লেন্ডার যেন হালকা ভেজা থাকে। অনেক ধরনের পোর্টেবল বিউটি ব্লেন্ডার, ছোটো ফেস ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলি নিজের ব্যাগ এ রাখতে পারেন।
১০ । প্লিজ, সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুনঃ
পুরো মেকআপ শেষে মেকআপ সিল করার জন্য সেটিং স্প্রে অবশ্যই ব্যবহার করুন। এটা মেকআপ গলে যাওয়া, ফেড হয়ে যাওয়া কিংবা ক্রিজিং অনেকটাই প্রিভেন্ট করে।
ব্যাস এই সহজ কিছু টিপস মেনে আপনি মেকআপ করলে আপনার মেকআপ লং লাস্টিং এবং সারাদিন সুন্দর রাখতে পারেন।