স্কিন এক্সফলিয়েশন

এক্সফলিয়েশন রূপচর্চার একটি গুরুত্বপূ্র্ণ ধাপ। আমাদের ত্বকের উপর সবসময়ই ডেড সেল জমতে থাকে। সাধারনত, পুরানো সেল মরে গিয়ে নতুন সেল উৎপন্ন হয়। কিন্ত ডেড সেল জমে থাকলে এই প্রক্রিয়ায় ব্যঘাত ঘটে। ত্বক পরিষ্কার না করলে লোমকূপ আটকে যায় এবং সেখানে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে এ থেকে শুরু হয় নানান সমস্যা। তাই উপরের এই অংশ যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখা উচিত। আর ত্বকে জমে থাকা ধুলাবালি ও ডেড সেল দূর করে কোমলতা ফিরে পেতে এক্সফলিয়েশনের বিকল্প নেই। এক্সফলিয়েশন ত্বককে নানাভাবে সাহায্য করে, যেমন-

১। ডেড সেল দূর করে

২। ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়

৩। পোরস দূর করে
 

এক্সফলিয়েশনের প্রকারভেদঃ

এক্সফলিয়েশন মূলত ২ ধরনের হয়-

১। ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশন

২। কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশন
 

চলুন এবার এক্সফলিয়েশনের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই-

ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশনঃ এক্সফলিয়েটিং এর প্রচলিত এবং সাধারন একটি পদ্ধতি হচ্ছে ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশন। মূলত স্ক্রাব এবং এক্সফলিয়েটিং ব্রাশ দিয়ে ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশন করা হয়। যদিও পুরু ত্বকের জন্য ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশন খুব চমৎকার কাজ করে কিন্তু সেনসিটিভ ত্বকের জন্য ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশন ক্ষতিকর হতে পারে।

কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশনঃ

এক্সফলিয়েটিং এসিড” বা “কেমিক্যাল এক্সফলিয়েটর” এই নামগুলো শুনতে একটু অন্যরকম মনে হলেও আসলে কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশন ত্বকের জন্য খুব ই ভালো। কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশনের মূল উপাদান হচ্ছে কেমিক্যাল আর তাই কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশন করলে এক্সফলিয়েশনের পাশাপাশি স্কিনে আরও উপকার হয় যেমন ব্রন বা পিগমেনটেশন ত্বকের ভেতর থেকে রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। যে আঠালো পদার্থ ত্বকের ডেড সেলগুলো একসাথে আটকে রাখে কেমিক্যাল এক্সফলিয়েটর সেসব আঠালো পদার্থ দূর করে এবং ত্বককে ধীরে ধীরে কোমল এবং উজ্জ্বল করে তোলে।

 

ফিজিক্যাল এবং কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশন উভয় ই একইভাবে কাজ করে কিন্তু এদের মূল পার্থক্য হচ্ছে, ফিজিক্যাল এক্সফলিয়েশন হয় স্পঞ্জ বা বিডস আকারের যা আপনার ত্বকে ফিজিক্যালি ব্যবহার করতে হয়। আর কেমিক্যাল এক্সফলিয়ান্টস হচ্ছে তরল প্রকৃতির যেটা আপনি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন। আর ফিজিক্যাল এক্সফলিয়ান্টস ব্যবহারের কিছুক্ষন পরে ফেস ওয়াশ করতে হবে।

চলুন জেনে নেই বিডস আকারের ফিজিক্যাল এক্সফলিয়ান্টস ব্যবহারের পদ্ধতিঃ

১। প্রথমে ভালভাবে ত্বক পরিষ্কার করুন

২। এবার হালকা পরিমান স্ক্রাব নিয়ে ত্বকে আলতোভাবে মাসাজ করুন এবং এভাবে ৩০ সেকেন্ড করুন এবং সবশেষে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কেমিক্যাল এক্সফলিয়ান্টস ব্যবহার পদ্ধতিঃ

কেমিক্যাল এক্সফলিয়ান্টস হিসেবে আপনি ক্লিনিজিং প্যাডস বা পীলিং জেল ব্যবহার করতে পারেন।

ক্লিনিজিং প্যাডস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমে ক্লিনিজিং প্যাডস নিয়ে ত্বকে ভালভাবে মাসাজ করুন। যেহেতু ক্লিনিজিং প্যাডসে আছে লিকুইড কেমিক্যাল তাই এটি ব্যবহার করলে ত্বকের ডেড স্কিন স্ক্রাব হয়ে যায়। এভাবে কিছুক্ষন ভালভাবে মাসাজের পর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

আর পীলিং জেলের ক্ষেত্রে প্রথমে পরিমান মত জেল নিন এবং সাথে হাল্কা পানি মিশিয়ে ত্বকে কিছুক্ষন মাসাজ করুন এবং ভালভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 

সুস্থ ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন খুবই জরুরি। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করার ফলে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া উঠে যায়। যার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক রং ও কোমলতা ফিরে পায়। তবে কোনভাবেই অতিরিক্ত মাত্রায় এক্সফলিয়েশন করা যাবেনা কারণ এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।