Skin Barrier 101

মাঝে মাঝে খেয়াল করে দেখবেন হঠাৎ করেই আপনার ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয় এবং ত্বকে অস্বস্তি বোধ হয়। মাঝে মাঝে আবহাওয়ার কারণে এমন হয় বা আমরা যে প্রসাধনী ত্বকে ব্যবহার করি তার কারণেও এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্য যে কারণে ত্বকে হঠাৎ লালচে ভাব বা অস্বস্তি হয় তা হল স্কিন ব্যারিয়ার।

স্কিন ব্যারিয়ার এর লক্ষণ গুলো হচ্ছেঃ

১। শুষ্কতা

২। ব্রেকআউটস

এমনকি অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবের কারণে আপনার স্কিন ব্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে

 

চলুন জেনে নেই স্কিন ব্যারিয়ার আসলে কি?

স্কিন ব্যারিয়ার এর আরেক নাম হচ্ছে ময়েশ্চার ব্যারিয়ার বা লিপিড ব্যারিয়ার। আমাদের ত্বকের উপরের স্তর ডেড স্কিন সেল দিয়ে তৈরি এবং লিপিড বা ফ্যাট এই ডেড সেলগুলো একসাথে ধরে রাখে এবং ত্বকের ময়েশ্চার এবং পুষ্টি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্কিন ব্যারিয়ার জীবাণু দূরে রাখতে সাহায্য করে।

কিভাবে বুঝবেন যে আপনার স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হয়েছে কিনা?

এটা বুঝা অনেক সহজ কারন স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হলে ত্বক হঠাৎ করে সেনসিটিভ হয়ে যায় এবং ত্বকে লালচে ভাব বা ত্বক টানটান হয়ে যায়। স্কিন ব্যারিয়ার হচ্ছে সেল এবং লিপিড এর সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রোটেক্টিভ লেয়ার। তাই এটি ড্যামেজ হওয়া মানে হচ্ছে প্রোটেক্টিভ লেয়ার বিভক্ত হয়ে যাওয়া, যার ফলে ধুলাবালি বা ময়লা ত্বকের ভেতর সহজেই প্রবেশ করে। যখন আপনি দেখতে পাবেন আপনার ত্বক অতিরিক্ত সেন্সিটিভ হয়ে গিয়েছে তখন বুঝতে পারবেন যে আপনার ত্বকে যে নরমাল ব্যারিয়ার ছিল তা ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। এসময় ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক ও হয়ে যায়। একে বলে ট্রান্সএপিডারমাল ওয়াটার লস প্রসেস।

আপনি যদি মুখে ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে চান তাহলে দেখে নিবেন যে ওই ক্লিঞ্জারের পিএইচ লেভেল ৭ এর নিচে কিনা। পিএইচ এর স্বাভাবিক মাত্রা  হচ্ছে ৫-৭। যদি ক্লিঞ্জারের পিএইচের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে তাহলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

কিভাবে স্কিন ব্যারিয়ার হিল করবেন?

প্রথমত, খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যে ক্লিঞ্জার ব্যবহার করছেন তা সালফেট ফ্রী কিনা। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা যাবেনা। এবং যে ব্যাপারটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তা হল ত্বকের সঠিক যত্ন নেয়া। সবসময় ই যে ত্বক ২ বার ওয়াশ করতে হবে এমন নয়। কিছু ত্বক দিনে ২ বার ওয়াশ করা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ আবার কিছু ত্বক দিনে ২ বার ওয়াশ করার প্রয়োজন পরেনা।  অতিরিক্ত পরিমাণে ফেস ওয়াশ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কারন, এর ফলে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল, পুষ্টি এবং ময়েশ্চার চলে যায়। আরেকটি জিনিস যা সবসময় মনে রাখতে হবে তা হল, কখনো একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করা যাবে না।

আপনার যদি মনে হয় আপনার ত্বকের সঠিক যত্ন হচ্ছেনা বা এমন প্রসাধনী ব্যবহার করছেন যা আপনার ত্বকে পুরোপুরি স্যুট করেনা তাহলে প্রথমেই যে কাজটি করবেন তা হল, যেসব ইনগ্রেডিয়েন্টস আপনার ত্বকের জন্য করে সেসব পণ্য আপনার স্কিন কেয়ারে যোগ করুন। এছাড়া যদি আপনার ত্বক লালচে হয়ে যায় বা জ্বালাপোড়া করে তাহলে স্কিন রিপেয়ারের জন্য ভিটামিন সি এবং রেটিনল ব্যবহার করতে পারেন।

যদি আপনার স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি ত্বকে তেলও ব্যবহার করতে পারেন। আর অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যাবহার করতে ভুলবেননা।

 

স্কিন ব্যারিয়ার আমাদের ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ যেহেতু আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর তাই আমাদের উচিত ত্বকের সঠিক যত্ন নেয়া এবং সঠিক পণ্য ত্বকে ব্যবহার করা। আর সঠিক পণ্য সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে ত্বকে ফিরে আসবে উজ্জলতা এবং ময়েশ্চার।

https://www.youtube.com/watch?v=C_e8SxI3n48