টনিক ব্যবহারের উপকারিতা

টনিক এক ধরণের তরল পদার্থ (aqueous substance) যার অনেক গুনাগুণ রয়েছে। টনিক এবং টোনার সাধারনত দেখতে এক হলেও এদের কার্যকরীতা এবং উপাদানের মধ্যে অনেক বেশি ব্যবধান রয়েছে।

টোনার টনিকের পার্থক্য:

টোনার আপনার ত্বক থেকে অবশিষ্ট ক্লিঞ্জার পরিষ্কার করে ও স্কিনের ন্যাচারাল ph লেভেল ফিরে পেতে সাহায্য করে। টোনার অনেক সময় আপনার স্কিনকে ড্রাই করে ফেললেও তার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ময়েশ্চারাইজার স্কিনে লক করা বা ধরে রাখা। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে অনেক বেশি উপকারি কারণ শীতে আমাদের ত্বক বেশি ড্রাই হয়ে যায় আর টোনার ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে টনিক এমনভাবে ডিজাইন করা যা আপনার ত্বককে রিফ্রেশ ও পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি আপনার ত্বকের ph লেভেল ব্যালেন্স করতে সাহায্য করবে। তার পাশাপাশি আপনার স্কিনের গভীর থেকে পোরস দূর করবে, ডিটক্সিফাই করবে ও হাইড্রেট করবে। এছাড়াও আপনার ত্বককে পরবর্তীতে স্কিনকেয়ার রুটিনের জন্য প্রস্তুত করে।

কোন সময় কিভাবে টনিক ব্যবহার করতে হবে?

 সকালে ও রাতে সমস্ত মুখে ক্লিঞ্জারের পর টনিক ব্যবহার করুন। টনিক টোনারের মতই ব্যবহার করতে হয়। সাধারণত একটি কটন প্যাডসের মাধ্যমে টনিক ব্যবহার করতে হবে। আর অবশ্যই যেকোন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার সময় আপনার ঘাড়ের আশেপাশেও ব্যবহার করুন।

টনিকের ধরণ:

Moisturizing tonics: স্কিনের যে অংশে ময়েশ্চার প্রয়োজন সেই অংশের আর্দ্রতা বাড়ায়

Stimulating tonics: ত্বককে নরম করে

Astringent tonics: ত্বকের অতিরিক্ত অয়েল কন্ট্রোল করে এবং পোরস কমাতে সাহায্য করে

Soothing tonics: এটি ত্বককে করে তুলে কোমল এবং নমনীয়

 

টনিক ব্যবহার করে আপনার স্কিনে যেভাবে উপকার করবে:

১। আপনার স্কিনের ph লেভেল ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে

২। আপনার ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং তার পাশাপাশি স্কিন ময়েশ্চার করে

৩। টনিকে থাকা astringent উপাদানের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার ও এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।